জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি সব ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কাতালগঞ্জ নব পন্ডিত বৌদ্ধ বিহার, করুনাময়ী কালীবাড়ি ও রাধামাধব মন্দির পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ নময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহ ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মীর মোহাম্মদ হেলাল বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও উপাসনালয়গুলোতে হামলার অপচেষ্টা করে, বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও ভিনদেশীয় ইন্ধনে তাদের প্রেতাত্মা ও দোসররা নানান রকম চক্রান্তে লিপ্ত। বিচ্ছিন্নভাবে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে নাশকতা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে দায়ী করার ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ খুবই দরকার। এখন সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় এমন কোনো কাজ কেউ করতে পারবে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। সেই বিজয়কে ধরে রাখার জন্য সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তাবলয় তৈরি করতে হবে। আমাদের পাশে যারা সংখ্যালঘু রয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের ওপর যেকোনো ধরনের আঘাত প্রতিরোধ করতে হবে। যেকোনো অপপ্রচার ও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।
নাজিমুর রহমান বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপসানালয়কে টার্গেট করেছে একটি চক্র। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপির ওপর চাপানোর জন্য চেষ্টা করছে।
এসময় মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, নব পন্ডিত বিহারের অধ্যক্ষ ড. উপানন্দ মহাথের, তরুন দাস গুপ্ত ভানু, বিপ্লব চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু রাজিব ধর তমাল, মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, সদস্যসচিব বাপ্পী দে, যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন দাস, রিপন দাশ, জীবন মিত্র, সুকান্ত মজুমদার, মহানগর বিএনপি নেতা সিহাব উদ্দিন মোবিন, শওকত আজম খাজা, সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, মো. ইদ্রিস আলী, এম এ হালিম বাবলু, জাফর আহমেদ, আসিফ চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আলম শিপু, ছাত্রদলের সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়পরিদর্শনকালে নেতৃবৃন্দ নব পন্ডিত বিহারের অধ্যক্ষ ড. উপানন্দ মহাথের, রাধামাধব মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুন দাস গুপ্ত ভানু ও করুনাময়ী কালীবাড়ি মন্দিরের বিপ্লব চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে নিরাপত্তার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা ভিন্ন ধর্মালম্বীদের মন্দির, বৌদ্ধবিহার ও বাসাবাড়ি এবং বিরোধীমতের সবাইকে বিএনপির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এমডিআইএইচ/ইএ