সব নীতি ভঙ্গ করে আরেক অঞ্চলে হামলা করল ইসরায়েল
লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চলছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তত্ত্বাবধানে দেশটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করে স্থিতিশীলতা আনয়নের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে যুদ্ধের সব নীতি ভঙ্গ করে দক্ষিণ লেবাননে বড় ধরনের বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, হামলার এক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী-আইডিএফ দক্ষিণ লেবাননের শহরগুলোর বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি খালি করে সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করে। এরপরই একের পর এক বোমা হামলায় কেঁপে উঠে পুরো অঞ্চল।
আইডিএফ এক বিবৃতিতে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে। তারা বলেছে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা শুরু করা হয়েছে। বেসামরিক লোকজন তাদের লক্ষ্যবস্তু নয়। সশস্ত্র হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর হুমকি ধ্বংস করতেই এই হামলা হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় নতুন করে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে। এখনও চালু থাকা অল্প কয়েকটি হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে গাজা সিটিতে তাদের স্থল আক্রমণে বেসামরিক নাগরিকের নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েই চলেছে।
চিকিৎসা কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল-শিফা ও আল-আহলি হাসপাতালের আশপাশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যা ক্ষুধার্ত, অসুস্থ এবং আহত মানুষের জন্য শেষ ভরসার জায়গা ছিল। আল-শিফার বাইরে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হন এবং আল-আহলির কাছে পৃথক হামলায় মারা যান আরও চারজন।
হামাস এই হামলাকে ‘পূর্ণমাত্রার যুদ্ধাপরাধ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। হামাস বলেছে, জাতিসংঘের নতুন প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিনেরও কম সময় হয়েছে যখন ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা আরও বলেছে, এই হামলাগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অবাধ্যতা এবং স্পষ্ট অবজ্ঞার একটি স্পষ্ট বার্তা।