সব সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি ২০০ করার দাবি
বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ফি ৭০০ থেকে কমিয়ে ৩৫০ টাকা নির্ধারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)। এমন সিদ্ধান্ত স্বাগত জানালেও সব চাকরিতে আবেদনের ফি ২০০ টাকা করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে সব চাকরিতে আবেদন ফি ২০০ টাকাসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নিলে আগামী বুধবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।
সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
তিনি বলেন, আমরা ধন্যবাদ জানাই যে, পিএসসি বিষয়টি উপলব্ধি করে তাদের আবেদন ফি ৭০০ থেকে কমিয়ে ৩৫০ টাকা করেছে, কিন্তু আমরা তো এ দাবি জানাইনি। আমাদের দাবি ছিল দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণিসহ সব মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তরে যেসব চাকরি রয়েছে সেগুলোর ফি যেন কমানো হয়। আগামী মঙ্গলবারের ভেতরে সরকার পক্ষ থেকে আমাদের যে চার দফা জানিয়ে ছিলাম, তার সুস্পষ্ট পদক্ষেপ দেখতে চাই।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবিতে তিন দিনের আলটিমেটাম দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা। মঙ্গলবার সেই আলটিমেটাম শেষ হতে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। মঙ্গলবার এই আলটিমেটাম শেষ হবে। এর মধ্যে আমাদের যে চার দফা দাবি, এ ব্যাপারে যদি কোনো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, আগামী বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ সময় ঢাবি শাখার সদস্যসচিব রাকিবুল ইসলাম বক্তব্য দেন। এছাড়াও ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির ৪ দফা দাবিগুলো হলো- চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে সর্বোচ্চ ২০০ টাকার মধ্যে করা; প্রিলি পরীক্ষার কাটমার্কস প্রকাশ করা; প্রিলিমিনারি, রিটেন এবং ভাইবার নম্বরপত্র আলাদাভাবে প্রকাশ ও প্রিলির একসেট উত্তর প্রকাশ; এ ছাড়া বিসিএস সর্বোচ্চ এক বছর আর অন্যান্য চাকরিতে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং পিএসসি থেকে ফ্যাসিবাদের দোসর ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ।