সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি

চাকরি শুরুর সময় দশম গ্রেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা বাস্তবায়নের দাবিতে বগুড়ায় একযোগে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। দ্রুত এ দাবি মানা না হলে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণদিবসের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।  বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালসহ জেলার সব সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, ব্লাড ব্যাংকসহ জরুরি অনেক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে না পেরে অনেক রোগীকে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালিত হয়। শজিমেক হাসপাতাল, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, টিবি ক্

সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি
চাকরি শুরুর সময় দশম গ্রেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা বাস্তবায়নের দাবিতে বগুড়ায় একযোগে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। দ্রুত এ দাবি মানা না হলে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণদিবসের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।  বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালসহ জেলার সব সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, ব্লাড ব্যাংকসহ জরুরি অনেক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে না পেরে অনেক রোগীকে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালিত হয়। শজিমেক হাসপাতাল, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, টিবি ক্লিনিক, সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা এতে অংশ নেন। কর্মসূচি চলাকালে শজিমেক হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে তারা তাদের ন্যায্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। নেতারা অভিযোগ করে বলেন, একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ডিপ্লোমা নার্স, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা যেখানে চাকরিতে যোগদান করেন দশম গ্রেড কর্মকর্তা হিসেবে, সেখানে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের চাকরি শুরু ও শেষ করতে হয় ১১তম গ্রেডের কর্মচারী হিসেবে। এটিকে স্বাস্থ্য খাতে চরম বৈষম্য হিসেবে আখ্যায়িত করেন তারা। নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিনের এ বৈষম্যের অবসান ঘটাতে তাদের একটাই দাবি— চাকরি যোগদানের সময় দশম গ্রেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা বাস্তবায়ন করা। কর্মসূচিতে উপস্থিত নেতারা দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়েছেন, তাদের এই যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণদিবসের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট এরশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আহমেদ আলী, ইয়াকুব, বদিউজ্জামান, আব্দুল মান্নান, সোহান তালুকদার, আব্দুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, আলমগীর, আশরাফুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন, আব্দুস সাত্তার, ফিরোজ আহম্মেদ, আফজাল হোসেন, হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow