সবই ছিল অভিনয় ও লোক দেখানো : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পুরুষের চাইতে নারীর মমত্ববোধ স্নেহবোধ ভালোবাসা বেশি থাকে এটাই আমরা জানি, কিন্তু এমন এক নারী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যার মধ্যে কোনো মমত্ব, ভালোবাসা স্নেহ কিছুই ছিল না। কেউ কেউ বলে তিনি মাঝে মাঝে কাঁদতেন তার বাবার, ভাইয়ের ও পরিবারের কথা বলে। এগুলো সবই অভিনয়, এগুলো ছিল লোক দেখানো।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের সুন্দরকাঠি এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ মাঠে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত চব্বিশের গণআন্দোলনে বরিশাল বিভাগের শহীদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সহমর্মিতা প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সাড়ে ১৫ থেকে ১৬ বছর প্রধানমন্ত্রী থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুট করেছেন, তার আবার মায়া মমতা কীসের। তিনি ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন আরও বেশি লুট, আরও বেশি টাকা পাচার করার জন্য। এটাই হচ্ছে তার রাজনৈতিক দর্শন, এটাই ছিল তার চিন্তাধারা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মানসিকতায় কোনো সহমর্মিতা নেই। শেখ হাসিনা বিশ্বাস করে মারধর আর ক্ষমতায়। উন্নয়নের নামে আওয়ামী লীগ নেতারা কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ফরিদপুরের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের। একজন ছাত্রনেতা এটা পারে কীভাবে।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সরকার ছিল আফ্রিকান মাগুর মাছের মতো। আফ্রিকান মাগুর পুকুরের মধ্যে যা পায় সব খেয়ে সাবার করে। তাদের এই অন্যায়, অবিচার, জুলুম, মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরে বিএনপি এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো লড়াই করেছে।
তিনি বলেন, ভয়ঙ্কর দুঃশাসন অতিক্রম করে আজ আমরা কিছুটা নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গায় এসেছি। আমাদের আরও অনেক পথ হাটতে হবে। আমাদের মূল দায়িত্ব জনগণের শাসন, জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। আর সেটা নিশ্চিত করতেই হবে। অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। আর সেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ১৭ বছর পর প্রত্যেকটি মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহমুদুল হক নান্নু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিন, বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার, যুগ্মআহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবায়দুল হক চান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন হাওলাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক শাহীন তালুকদার প্রমুখ।