‘সবকিছুর দাম একসঙ্গে বাড়লে মানুষ যাবে কোথায়’

3 months ago 52

যশোরের শার্শা-বেনাপোল বাজারে ডিমের কোনো সংকট না থাকলেও দাম কমার লক্ষণ নেই। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ডিম সাধারণের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজার প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেই। এজন্য সবকিছুর দাম বেড়েই চলেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে শার্শা-বেনাপোল বাজারে ডিম বিক্রি হয় ৩৮-৪০ টাকা হালি। ফেব্রুয়ারিতে দর অপরিবর্তিত ছিল। মার্চ মাসের শুরুতে দুই টাকা বেড়ে ডিমের দাম গিয়ে দাঁড়ায় ৪২ টাকায়। মার্চের মাঝামাঝিতে দাম আরও খানিকটা কমে বিক্রি হয় ৩৮ টাকা হালি। মাসজুড়ে এ দামেই বিক্রি হয়। এপ্রিল মাসে খানিকটা বেড়ে ডিম বিক্রি হয় ৪০ টাকা হালি। মে মাসের শুরুতেও এ দামেই বিক্রি হয় ডিম। মাসের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অস্থির হতে থাকে ডিমের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানেই বিক্রি হতে থাকে ৪৮ টাকা হালি দরে। ধাপে ধাপে বেড়ে গিয়ে বর্তমানে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা হালি।

বেনাপোলের ভবারবেড় এলাকার বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন ডিমের দাম একটু কম থাকায় স্বস্তিতে ছিলাম। আবারও ডিম বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।’

নিয়ন্ত্রণহীন ডিমের বাজার, ‘সবকিছুর দাম একসঙ্গে বাড়লে মানুষ যাবে কোথায়’

বড় আঁচড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আগে মাঝে মধ্যে একটি দুটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়তো। এখন কোনো পণ্যতেই স্বস্তি নেই। সবকিছুর দাম একসঙ্গে বাড়লে মানুষ যাবে কোথায়?’

তবে কোনো সংকট না থাকলেও দাম বাড়ছে বলে জানান বেনাপোলের ডিম বিক্রেতা আব্দুল সালাম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যশোর থেকে ডিম নিয়ে এসে এখানে বিক্রি করি। ডিমের কোনো সংকট নেই।

নিয়ন্ত্রণহীন ডিমের বাজার, ‘সবকিছুর দাম একসঙ্গে বাড়লে মানুষ যাবে কোথায়’

যশোর জেল রোড এলাকার ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের আড়তদার সিরাজুল ইসলাম বলেন, যশোরের অভ্যন্তরে যে ডিম উৎপাদন হয়, স্থানীয় চাহিদা পূরণে তা কম নয়। এর পাশাপাশি খুলনা ও পাবনা থেকেও পর্যাপ্ত ডিম আসছে বাজারে। তারপরও ডিমের দাম কেন বাড়ছে তা তারা জানেন না।

একই কথা জানান নাভারন বাজারের ডিমের আড়তদার কামাল হোসেন।

জামাল হোসেন/এসআর/জেআইএম

Read Entire Article