সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বিআরটিএ, ঘুষ দেওয়ার শীর্ষে নোয়াখালী

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সেবা নিতে ঘুষ দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে নোয়াখালী জেলার মানুষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সিটিজেন পারসেপশন সার্ভের (সিপিএস) চূড়ান্ত প্রতিবেদন-২০১৫ এ তথ্য জানানো হয়। এ জরিপটি পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব এস এম শাকিল আখতারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। জরিপে বলা হয়, সরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে দেখা যায় যে, গত ১ বছরে যেসব নাগরিক সরকারি সেবা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ নাগরিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন মর্মে রিপোর্ট করেছেন। যেখানে পুরুষ ৩৮ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং নারী ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ। এর মধ্যে ঘুষ দেওয়ার ক্ষেত্রে নোয়াখালী জেলা শীর্ষে (প্রায় ৫১ শতাংশ মানুষ ঘুষ দিয়েছেন সেবা নিতে) সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নাগরিকদের সর্বাধিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো যথাক্রমে বিআরটিএ (৬৩ দশমিক ২৯ শতাংশ), আইন প্রয়োগকারী সংস্থা (৫৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ), পাসপোর্ট অফিস (৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ)। প্রায় ৯৮.৪৮ শতাংশ

সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বিআরটিএ, ঘুষ দেওয়ার শীর্ষে নোয়াখালী

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সেবা নিতে ঘুষ দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে নোয়াখালী জেলার মানুষ।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সিটিজেন পারসেপশন সার্ভের (সিপিএস) চূড়ান্ত প্রতিবেদন-২০১৫ এ তথ্য জানানো হয়। এ জরিপটি পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব এস এম শাকিল আখতারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জরিপে বলা হয়, সরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে দেখা যায় যে, গত ১ বছরে যেসব নাগরিক সরকারি সেবা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ নাগরিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন মর্মে রিপোর্ট করেছেন। যেখানে পুরুষ ৩৮ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং নারী ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এর মধ্যে ঘুষ দেওয়ার ক্ষেত্রে নোয়াখালী জেলা শীর্ষে (প্রায় ৫১ শতাংশ মানুষ ঘুষ দিয়েছেন সেবা নিতে)

সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নাগরিকদের সর্বাধিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো যথাক্রমে বিআরটিএ (৬৩ দশমিক ২৯ শতাংশ), আইন প্রয়োগকারী সংস্থা (৫৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ), পাসপোর্ট অফিস (৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ)। প্রায় ৯৮.৪৮ শতাংশ জনগণ ঘুষ হিসেবে টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

জরিপে নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার এবং বৈষম্য বিষয়ক এসডিজি সূচকের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়েছে।

জাতীয়ভাবে, নমুনাভুক্ত খানার মধ্যে গড়ে সদস্য সংখ্যা ৪ জন। যার মধ্যে ৮১.৯৭ শতাংশ পুরুষপ্রধান পরিবার এবং ১৮.০৩ শতাংশ নারীপ্রধান পরিবার।

জরিপে দেখা যায় যে, দেশের ৮৪.৮১ শতাংশ নাগরিক সন্ধ্যার পর নিজ বাসার আশপাশের এলাকায় একা চলাফেরা করতে নিরাপদ বোধ করেন। এ নিরাপত্তা বোধ পুরুষদের (৮৯.৫৩ শতাংশ) তুলনায় নারীদের (৮০.৬৭ শতাংশ) বেশ কম। সন্ধ্যার পর নিজ বাড়িতে নিরাপত্তা বোধের হার তুলনামূলকভাবে বেশি (৯২.৫৪ শতাংশ)।

সুশাসনের বিষয়ে, মাত্র ২৭.২৪ শতাংশ নাগরিক মনে করেন যে, তারা সরকারি সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারেন। রাজনৈতিক প্রভাবের ক্ষেত্রে এই হার আরও কমে ২১.৯৯ শতাংশে নেমে আসে। জাতীয়ভাবে, প্রায় এক-চতুর্থাংশ (২৪.৬২ শতাংশ) জনগণ মনে করেন যে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সাড়াপ্রবণ। এ বিষয়ে পল্লী (২৪.৪৭ শতাংশ) ও শহরের (২৪.১১ শতাংশ) জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় কোনো পার্থক্য নেই।

গত ১২ মাসে সরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, জাতীয়ভাবে ৪৭.১২ শতাংশ জনগণ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন। এছাড়া ৪০.৯৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে, তাদের অন্তত একটি সন্তান সরকারি বিদ্যালয়ে (প্রাথমিক/মাধ্যমিক) পড়াশোনা করেছে। তদুপরি, ৭৩.৭৭ শতাংশ জনগণ অন্যান্য সরকারি সেবা (পরিচয়পত্র/নাগরিক নিবন্ধন) গ্রহণের অন্তত একটি প্রচেষ্টা করেছেন। এ সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে পাঁচটি মাত্রার ভিত্তিতে দেখা যায় যে, স্বাস্থ্যসেবায় সামগ্রিক সন্তুষ্টির হার ৭২.৬৯ শতাংশ, প্রাথমিক শিক্ষায় ৮১.৫৬ শতাংশ, মাধ্যমিক শিক্ষায় ৭৮.১৮ শতাংশ এবং অন্যান্য সরকারি সেবায় (পরিচয়পত্র/নাগরিক নিবন্ধন) ৬৬.৯১ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট।

এমওএস/এমএমকে/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow