সবজি ও ফলের মাছি পোকা দমনের উপায়

9 hours ago 4

মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ঝিঙা, চিচিঙা, পটল, বেগুন এবং ফলের মাছি পোকা দমন করা জরুরি। কেননা মাছি পোকা কুমড়া ফসলের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর। সব কুমড়া ফসলের মাছি পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যায়। এ জন্য এ ফাঁদ স্থাপনের নিয়ম-কানুন জানা জরুরি।

আসুন জেনে নিই কীভাবে কুমড়াসহ সবজি ও ফলের মাছি পোকা দমন করবেন-

লক্ষণ
স্ত্রী মাছি কচি ফলের নিচের দিকে ওভিপজিটর ঢুকিয়ে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মতো তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে। যা শুকিয়ে বাদামি রং ধারণ করে। ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে ফলের শাস খেতে শুরু করে। এতে ফল বিকৃত হয়ে যায় এবং হলুদ হয়ে পচে ঝরে যায়।

জৈব দমন ব্যবস্থাপনা
১. আক্রান্ত ফল বা ফুল সংগ্রহ করে ধ্বংস করা বা পুড়ে ফেলা।
২. কচি ফল কাগজ বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া।
৩. প্রথম ফুল আসা মাত্র কুমড়া জাতীয় ফসলের ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা।
৪. প্রতি ১০ শতাংশের জন্য ৩টি হারে স্থাপন করতে হবে।
৫. উত্তম রূপে জমি চাষ দিয়ে পোকার পুত্তলি পাখিদের খাবার সুযোগ করে দিন।
৬. জৈব বালাইনাশক হিসেবে বায়োবিটিকে ব্যবহার করতে পারেন।
৭. গাছ ও ফল চকচকে এবং সুন্দর রাখার জন্য বায়োডার্মা পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

ফেরোমন ফাঁদ
পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ খুব ভালো কাজ করে। প্রতি ৪-৫ শতকে একটি ফেরোমন ফাঁদ যথেষ্ঠ। তবে ফাঁদের পানি নিয়মিত বদলাতে হবে। মৃত পোকা পরিষ্কার করতে হবে। একটি ফেরোমন লিউর ২ মাস কাজ করে। ফাঁদ গাছের ক্যানপি লেভেল থেকে ১ ফুট ওপরে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বাঁধতে হবে।

রাসায়নিক দমন ব্যবস্থাপনা
• পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০ গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে তাতে সামান্য বিষ (যেমন- কার্বারিকের জেনেভিন ০.২৫ গ্রাম) মিশিয়ে তা দিয়ে বিষটোপ তৈরি করে মাটির পাত্রে করে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
• সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ইরদি ১ মিলিলিটার বা লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
• আম বা খেজুরের রসে সামান্য বিষ (কার্বারিকের জেনেভিন ০.২৫ গ্রাম) মিশিয়ে তা বোতলে রেখে জানালা কেটে দিয়ে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।

সাবধানতা
১. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।
২. বালাইনাশক ব্যবহারের আগে বালাইনাশকের গায়ে আটা লেবেল ভালোভাবে পড়ুন।
৩. বালাইনাশক ব্যবহারের আগে এবং সংরক্ষণের সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৪. অতিরিক্ত মাত্রায় বালাইনাশক ব্যবহার স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
৫. সুরক্ষামূলক পোশাক পরা জরুরি।

এসইউ/জেআইএম

Read Entire Article