সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, মাছ কিনতে বিপাকে ক্রেতারা
লালমনিরহাটের বাজারে সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে মাছের দাম নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তি পেলেও মাছ কিনতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার নামুড়ী, শিয়ালখোওয়া, চাপারহাট ও সকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম আগের তুলনায় কমলেও মাছের দাম চড়া।
গত সপ্তাহে শিমের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। লাউয়ের দাম ৭০–৯০ টাকা থেকে কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৩০–৪০ টাকায়। গোল বা কালো বেগুন মিলছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকায়। ঢেঁড়স, পটল, শসা, কাঁকরোল ও মিষ্টি লাউ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০–৫০ টাকায়। তবে আলু, কাঁচা পেঁপে ও কলা ছাড়া ২৫ টাকার নিচে আর কোনো সবজি নেই।
শিয়ালখোওয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা সামদ মিয়া বলেন, সবজির বাজার সবসময় একরকম থাকে না। কখনো কমে আবার বেড়ে যায়। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় এবার শিম ও লাউসহ কিছু সবজির দাম অনেকটাই কমেছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০–৩৮০ টাকা, কাতল ৪৫০–৫০০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০–৫৫০ টাকা, শিং মাছ ৩০০–৩৫০ টাকা। সস্তার মধ্যে সিলভার কার্প ১৩০–১৭০ টাকা, পাঙাশ ১৪০–১৮০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৫০–১৮০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
মাছ কিনতে আসা ক্রেতা সাদেকুল ইসলাম বলেন, দেশি ছোট মাছের দাম এত বেশি যে সাধারণ মানুষ কিনতেই পারে না। চাষের মাছও দিন দিন বাড়ছে। বড় একটি ভালো মাছ কিনতে গেলে হাজার টাকা লেগে যায়। তাই নিম্নআয়ের মানুষের ভরসা এখন তেলাপিয়া, সিলভার কার্প আর পাঙ্গাশ।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা বলেন, বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ যদি অতিরিক্ত দাম নেয়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।