সরবরাহ ঘাটতি না থাকলেও খুলনার বাজারে এখনো চড়া সবজির দাম। বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। মাঝে ১০-১৫ টাকা কেজিতে কমলেও ফের দাম বেড়েছে সবজির। এ নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের শেষ নেই। তবে বিক্রেতারা বলছেন, শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে, খুব দ্রুত দাম কমবে সবজির।
রোববার (২৬ অক্টোবর) খুলনার নতুন বাজার, নিউ মার্কেট ও খালিশপুর বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়। সবজির বাজারে, লম্বা বেগুন ৬০-১০০ টাকা, গোল বেগুন ১২০-১৩০ টাকা, করলা ৮০-১০০, বরবটি ৮০ -১০০, পটোল ৬০-৭০, লাল শাক ৩০-৪০ টাকা, পালংশাক ২৫-৩০ টাকা, লাউ শাক ৫০-৬০ টাকা কেজি, কুমড়া ৬০ টাকা কেজি, ধুন্দল ৭০ -৮০, ঢ্যাঁড়স ৬০-৮০, কাঁকরোল ৭০-১০০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৫০-৭০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা পিস, কাঁচামরিচ মানভেদে ২০০-২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ৫০ টাকা বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে।

মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা কেজি, সোনালি ২৭০-২৮০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে, রুই মাছ আকারভেদে ৩০০-৩৫০ টাকা, ভেটকি মাছ আকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকা কেজি, চিংড়ি মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০ টাকা, পাবদা ৩০০-৩৫০ টাকা, পাঙাশ ১৭০-২০০ টাকা, ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন-
আমতলীতে ইসলামী আন্দোলনের দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান
পিরোজপুরে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের শেষ দিনে ২০ জেলে আটক
বাগেরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় নারী নিহত
নতুন বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন হক বলেন, সবজির দাম বাড়ছে কিন্তু কমছে না। সামনে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলেই সব সবজির দাম কমে যাবে। আমরা তো পাইকার বাজার থেকে সবজি আনি। দাম বাড়তি থাকায় অনেক সবজি উঠাই না।

নতুন বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সোরাব মিয়া বলেন, সামুদ্রিক মাছেরও আমদানি কম। মাছের খাবারের দাম বাড়তি হওয়ায় ঘেরের মাছের দামও বাড়তি। আমরা সামান্য লাভে খুচরা দামে বিক্রি করি।
নিউ মার্কেট বাজারে আসা চাকরিজীবী কামাল হোসেন বলেন, কয়েক মাস ধরেই সবজির দাম অনেক চড়া। এর মধ্যে পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। অন্যান্য সবজির কথাতো বাদ দিলাম। মাছের বাজারের অবস্থাও একই। কোনো কিছুর দামে লাগামে নেই। এক কেজি হরিনা চিংড়ি ৬০০ টাকায় কিনতে হয়েছে।
অন্য এক ক্রেতা মাহবুব হাওলাদার বলেন, মাছ সবজির দাম কখনোই লাগামে ছিলো না। এখনো নেই। বাজার করতে হিমশিম খেতে হয়। খরচের বাজারে এখন হিসাব রাখাই কষ্টকর। মাস শেষের আগে হিসাবের টাকা শেষ হয়ে যায়। বাজারে ভরপুর সবজি থাকলেও দাম কমছে না। বাজার তদারকি নিয়মিত করলে সবকিছুর দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরিফুর রহমান/এফএ/এমএস

3 hours ago
6









English (US) ·