ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে সবাই ভোট দিলে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির ক্ষমতা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিরোধ পরিষদের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী ও ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসু।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি। মেঘমল্লার বসু এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও জানিয়েছেন।
জিএসপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘আগামী ৭ বা ৮ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে ফিরবো। ৯ সেপ্টেম্বর সারাদিন আপনাদের সঙ্গে থাকবো। ডাকসুতে সবাই ভোট দিতে এলে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির ক্ষমতা থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ভোট দিলে প্রতিক্রিয়াশীলরা লাভবান হতে পারবে না।’
লাইভের শুরুতে মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘গত ২ সেপ্টেম্বর আমার অপারেশন হয়েছে। একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। অ্যাপেন্ডিক্সটা খুব গুরুত্বপূর্ণ না। কিন্তু আমার সার্জারিটা একটু জটিল। পেট কেটে করতে হয়েছে। আমার অনুপস্থিতির কারণে প্যানেলে, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। যেভাবে কাজ করার দরকার ছিল, অসুস্থতার কারণে পারিনি। বন্ধু, শত্রু সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রচুর মানুষ আমাদের ওপর ভরসা রেখেছেন, বিশেষ করে যারা আমাদের মধ্যে প্রগতিশীলতার বার্তা দেখতে পেয়েছেন। যত ভোটই পাই, শেষ পর্যন্ত লড়াই করবো। সবার মাঝে যেহেতু পৌঁছাতে পারেনি, তাই এটা আমার জন্য একটি বেদনার স্মৃতি হয়ে থাকবে। ঢাকা শহরে বড় হয়েছি, কিন্তু হলে থাকতে পারেনি। আমরা যারা জনমানুষের জন্য লড়াই করছি, তাদের জন্য প্রতিকূলতা থাকবেই।’
ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মেঘমল্লার বলেন, আপনারা আমাকে যদি যোগ্য মনে করেন, ভোট দিয়েন। আপনাদের কাছে পৌঁছাতে পারিনি বলে আমাকে ভোট থেকে বঞ্চিত করবেন না। আমি জিতি বা না জিতি, আমার পাওয়া প্রতিটি ভোট, আমার জন্য ম্যান্ডেটের মতো কাজ করবে। সে ভোটের ভিত্তিতে, আমার কথা কতখানি কতটুকুন গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হয়, তা অনেকখানি নির্ভর করবে। এখন পর্যন্ত প্রচন্ড রকম শারীরিক যন্ত্রণায় আছি। জগন্নাথ হলের প্রতি বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা। দল-মতের ওপরে উঠে তারা কাজ করছে।’
জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা নিয়ে রাজধানীর পান্থপথের হেল্প অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি হন মেঘমল্লার বসু। পরদিন ২ সেপ্টেম্বর রাতে তার অপারেশন করা হয়। বর্তমানে তিনি বেশ সুস্থ। তবে কিছু জটিলতার কারণে আরও দু-একদিন হাসপাতালে থাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তাকে অপারেশনের পর হাসপাতালে দেখতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী জিএস প্রার্থী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের শেখ তানভীর বারী হামিম, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম ফরহাদ প্রমুখ।
এএএইচ/এমএএইচ/এএসএম