সবাইকে নিয়ে নির্বাচন না হলে আমরা অংশগ্রহণ করব না : কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। যদি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে শুধু বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে ২০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যাবে না। সে ভোটে আমরাও যাব না।  বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কাদেরিয়া বাহিনীর আয়োজনে টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আপনাকে চিনতে পারি নাই। আমার আগে আপনাকে শেখ হাসিনা চিনেছে। দেশের মানুষ চিনেছে। শেখ হাসিনার অন্যায় বঙ্গবন্ধুর অন্যায় নয়। শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় নয়। মুক্তিযুদ্ধের  অন্যায় নয়। এই আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছিলেন শেখ মুজিব, শামসুল হক। শেখ হাসিনা জন্ম দেন নাই। শেখ হাসিনার বিচার করবেন ভালো কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিচার করবেন তা পারবেন না।  আইয়ুব খান পারে নাই, ইয়াহিয়া খানও পারে নাই। আপনারাও পারবেন না। আওয়ামী লীগের যারা দোষী, যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিচার করেন।

সবাইকে নিয়ে নির্বাচন না হলে আমরা অংশগ্রহণ করব না : কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। যদি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে শুধু বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে ২০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যাবে না। সে ভোটে আমরাও যাব না। 

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে কাদেরিয়া বাহিনীর আয়োজনে টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আপনাকে চিনতে পারি নাই। আমার আগে আপনাকে শেখ হাসিনা চিনেছে। দেশের মানুষ চিনেছে। শেখ হাসিনার অন্যায় বঙ্গবন্ধুর অন্যায় নয়। শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় নয়। মুক্তিযুদ্ধের  অন্যায় নয়। এই আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছিলেন শেখ মুজিব, শামসুল হক। শেখ হাসিনা জন্ম দেন নাই। শেখ হাসিনার বিচার করবেন ভালো কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিচার করবেন তা পারবেন না।  আইয়ুব খান পারে নাই, ইয়াহিয়া খানও পারে নাই। আপনারাও পারবেন না। আওয়ামী লীগের যারা দোষী, যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিচার করেন। কিন্তু সবাই তো দোষ করে নাই। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে আমি রাজনৈতিকভাবে কখনো সমর্থন করি নাই। কারণ সে মনে করত, দেশটা তার বাপের। আর আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু দেশের সেবক, আমিও দেশের সেবক। আমরা সবাই আল্লাহর গোলাম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছিলাম। জিয়াউর রহমানও করেছিলেন। দুজনকেই বীরোত্তম খেতাব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকার। এখানে কোনো ভিন্নতা নেই। ভিন্নতা করেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতকে আমরা শক্তিশালী করে দিয়েছি। স্বাধীনতা যুদ্ধে তারা যে অন্যায় অবিচার করেছে, মা-বোনের সম্মানহানি করেছে, তারা ক্ষমা না চাইলে এই দেশে কথা বলার সুযোগ পেত না। বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা ছিলেন বলেই জামায়াতের নেতারা বেঁচে  গেছেন। 

সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান আলমগীর খান মেনু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, জেলার মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতীক, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী হুমায়ুন বাঙ্গাল, দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow