বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের সামনে উদ্দেশ্য হবে নতুন বাংলাদেশ, সবার আগে বাংলাদেশ। সবার আগে বাংলাদেশ আমাদের সবচেয়ে বড় নীতি।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন
- সারজিস-হাসনাতকে ১০০ বার কল দিলেও রিসিভ করেন না
- গুমের শিকার পারভেজের কন্যার বক্তব্য শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় ঐক্য একটি প্ল্যাটফর্মে হবে, যেটা গঠিত হয়েছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের মাধ্যমে। এটাই সেই প্ল্যাটফর্ম। এখানে সবাই আছে। এই জাতীয় ঐক্যটা হবে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য। একে ধরে রাখতে হবে, সমুন্নত রাখতে হবে। এটাই হবে আমাদের জন্য শক্তি।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে উদ্দেশ্য হবে নতুন বাংলাদেশ। সবার আগে বাংলাদেশ। সবার আগে বাংলাদেশ আমাদের সবচেয়ে বড় নীতি। এখানে বৈদেশিক যত সম্পর্ক হবে, সব হবে সার্বভৌম সমতার ভিত্তিতে, সম্মান এবং মর্যাদার ভিত্তিতে। বাংলাদেশের সীমানা যেভাবে করদরাজ্যে পরিণত হয়েছিল, সেটা মুক্ত হয়েছে। সেটাকে ধরে রাখতে হবে। আমরা অনেক প্রাণ হারিয়েছি। বলা হয়, ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হলো বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে’। সেই লেখা চিরদিন অন্তরে ধারণ করতে হবে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এই প্রিয় মাতৃভূমিতে যারা শহীদ হয়েছেন তারাই জানেন, স্বর্গের চেয়েও প্রিয় এই মাতৃভূমি। সেই মাতৃভূমিতে আমরা এখনো যারা বেঁচে আছি, যারা গুম হয়েছিলাম ফেরত এসেছি, তাদের সবার উদ্দেশ্যে আমাদের রক্তকমলে গাথা বিজয়মাল্য উপহার দিচ্ছি। আমাদের একটাই বক্তব্য থাকবে, আমাদের আগামী নির্মাণের যে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা, সেই অগ্রযাত্রাতে আমরা দ্বিমত পোষণ করবো, ভিন্নমত পোষণ করবো, বহুমত পোষণ করবো- কিন্তু আমরা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের জন্যে একই রাস্তায় এগিয়ে যাবো, সেটাই যেন আমাদের উদ্দেশ্য হয়।
এর আগে বিকেল ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শহীদদের জন্যে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে জুলাই-আগস্টে ও গত ১৭ বছরে নিহত ও গুম হওয়াদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর জুলাই আন্দোলনের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তীসময়ে গুম হওয়া পরিবারের সদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য, সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা এবং বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এমএইচএ/কেএসআর/এমএস