২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু রিপোর্ট।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জাতীয় জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী বছরগুলোতে দেশটিতে আরও ঘন ঘন ও তীব্র জলবায়ু সংকট দেখা দেবে। যেমন: বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহ, খরা এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চলে আগুন।
অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস বোয়েন বলেন, অস্ট্রেলীয়রা এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মধ্যে বসবাস করছে।
উষ্ণতা বৃদ্ধির তিনটি সম্ভাব্য মাত্রা দেখানো হয়েছে। সেগুলো হলো ১.৫ ডিগ্রি, ২ ডিগ্রি ও ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঊর্ধ্বে।
অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা অতিক্রম করেছে।
যদি ৩ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়, তাহলে সিডনিতে তাপঘাতজনিত মৃত্যুহার ৪০০ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে এবং মেলবোর্নে প্রায় তিনগুণ হতে পারে
৭২-পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনটি এমন সময় প্রকাশিত হলো যখন সরকার ২০৩৫ সালের কার্বন নিঃসরণ হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কোনো অঞ্চলই জলবায়ু ঝুঁকি থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। জলবায়ু সংকটগুলো একে অপরকে আরও তীব্র করবে এবং একসঙ্গে আঘাত হানবে।
২০৫০ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অনেক উপকূলীয় অঞ্চলকে উচ্চ ও অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। জনসংখ্যা স্থির থাকলে, এর মানে হলো ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ সরাসরি হুমকির মুখে পড়বে।
সূত্র: বিবিসি
এমএসএম