সরকার পতনের পর খোঁজ নেই অধ্যক্ষের, অপসারণ দাবি

1 month ago 9

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর দারুচ্ছুন্নাহ (ডিএস) কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদরাসা থেকে মিছিল করে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এসময় মাদরাসার শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, অধ্যক্ষ একরাম হোসেন প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন। তিনি পরীক্ষার টাকা ২-৩ গুণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত কোনো উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেননি। এ অধ্যক্ষ সরকারিভাবে পাওয়া ল্যাপটপ একজন ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দিয়ে নিজে টাকা ভোগ করছেন। তার দাম্ভিকতার জন্যে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর একরাম হোসেন পালিয়ে গেয়েছেন। তাকে দীর্ঘ একমাস যাবত তাকে পাওয়া যাচ্ছে না, তিনি কোথায় কেউ জানেও না।

মোহাম্মদ ইয়ামিন খান নামের আরেক ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, আমাদের থেকে প্রশংসাপত্র, সনদ ও প্রবেশপত্র বাবদ নিয়ম বহির্ভূত টাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষ একরাম হোসেন। বোর্ড নির্ধারিত কেন্দ্র ফির অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করেন তিনি। তিনি সুলভ মূল্যে শিক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের একমাত্র মাধ্যম ‘সততা স্টোর’ বন্ধ করে দেন। রোবার স্কাউট ফি নিলেও টিম গঠন করেননি। এমনকি ভর্তির সময় মিলাদ বাবদ টাকা নিলেও মিলাদ অনুষ্ঠানের জন্য পুনরায় চাঁদা দিতে বাধ্য করেছেন শিক্ষার্থীদের।

শান্তা আক্তার নামের ফাজিল প্রথম বর্ষের আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, এ মাদরাসায় গত ৬ বছর ধরে পড়াশোনা করছি। অধ্যক্ষ একরাম হোসেন তার সামনে আমিসহ সব মেয়েদের হিজাব খুলে পড়াশোনা করতে চাপ প্রয়োগ করতেন। অথচ আমি খ্রিস্টান একটি স্কুলে পড়াশোনা করে এসেছি। সেখানে পর্দার ব্যাপারে কোনো বাধা ছিল। এ অধ্যক্ষের অপসারণ চাই।

বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর অধ্যক্ষ একরাম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে তাকে অপসারণের দাবি করা হয়।

মাদরাসার সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা ইসহাক আল মামুন বলেন, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করেছেন।

এ বিষয়ের জানতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ একরাম হোসেনের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ/জেআইএম

Read Entire Article