সরকার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পুতুল খেলা খেলছে

3 months ago 54

সরকার একমুখী সমন্বিত শিক্ষা কারিকুলাম চালু করে কয়েক কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘পুতুল খেলা’ খেলছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘সচেতন অভিভাবক সমাজ’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই অভিযোগ করেন তারা।

অভিভাবকরা বলেন, শিশুরা ছোটবেলায় পুতুল খেলা খেলতে অভ্যস্ত। আজ সরকার যেন কয়েক কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমনই পুতুল খেলছে। শিশুদের পুতুল খেলার মধ্যে তাদের আবেগ-বিবেক কাজ করে, তারা সেই খেলার মাঝেই হাসে-কাঁদে। কিন্তু আজ এদেশের কোটি কোটি শিশুর শিক্ষাজীবন নিয়ে যারা পুতুল খেলছে, তাদের কোনো আবেগ-বিবেক নেই। তারা সম্পূর্ণ সজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় এই ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করছে।

মানববন্ধনে তারা আরও বলেন, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সাধারণ ধারার শিক্ষায় ১ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে একমুখী সমন্বিত শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। এবছর তা ২য়, ৩য়, ৮ম এবং ৯ম শ্রেণিতে চালু হয়েছে, এবং ২০২৫ সালে এটা ৪র্থ, ৫ম ও ১০ম শ্রেণিতে চালু হবে। এরপর ২০২৬ ও ২০২৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে।

সরকার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পুতুল খেলা খেলছে

অভিভাবকরা আরও অভিযোগ করেন, প্রতিদিন নতুন নির্দেশনা দেওয়া ও বাতিল করা, কীভাবে পরীক্ষা হবে এবং মূল্যায়ন হবে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতা ও হ-য-ব-র-ল নির্দেশনায় ছাত্র-শিক্ষকরা আজ অসহায়, অভিভাবকরা নিরুপায়।

তারা আরও বলেন, আগের কারিকুলাম কেন ব্যর্থ হলো, এজন্য কে দায়ী, কে জবাবদিহি করবে, এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ হবে- এ বিষয়ে তখন তারা (সরকার) বেমালুম ভুলে যায়। কিন্তু সন্তানের শিক্ষার এই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখে যখন অভিভাবক, শিক্ষক বা সচেতন মহল কথা বলেন, প্রতিবাদ করেন তখন কিন্তু তারা জেগে ওঠে। তারা তখন রাতের আঁধারে অভিভাবকদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে জামিন নামঞ্জুর করে হাজতখানায় পাঠিয়ে দেয়।

সরকার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পুতুল খেলা খেলছে

অভিভাবকরা বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে আমরা অভিভাবক ও শিক্ষক সমাজ নিষ্কৃতি চাই। আমাদের সন্তানের জন্য ভালো মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে আগে ভালো শিক্ষক দরকার, তাদের ভালো বেতন দরকার, ভালো প্রশিক্ষণ দরকার, তাদের স্বাধীনতা দরকার, স্কুল-কলেজের ওপর থেকে দুর্বৃত্ত ব্যবস্থাপনা কমিটির অপসারণ দরকার, প্রশাসনিক হয়রানি থামানো দরকার। কিন্তু তা না করে প্রতিনিয়ত শিক্ষার উন্নয়নের নামে যা করা হচ্ছে তাতে শিক্ষার আরও পতন ঘটছে।

সচেতন অভিভাবক সমাজের সভাপতি মুসলিম বিন হাইয়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, অভিভাবক ডা. আরিফ মোর্শেদ খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এনএস/জেডএইচ/এএসএম

Read Entire Article