সরকারি পুকুর ভরাট করে হাউজিং প্রকল্প, বন্ধ করে দিলো বিসিসি

3 hours ago 3

কীর্তনখোলা নদীর তীরঘেঁষে অবস্থিত বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এলাকার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলে ভরাট করা হচ্ছিল পুকুর। প্রায় ভরাট হয়ে গিয়েছিল পুকুরটি। খবর পেয়ে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়ানগর খ্রিষ্টানপাড়া এলাকায় দেখা গেছে, ‘ছালাম মিয়া হাউজিং’ প্রকল্পের নামে একটি পুকুর প্রায় ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ওই এলাকায় ব্যবহারযোগ্য ওই পুকুরটিই অবশিষ্ট ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকাটিতে আগে ফসলি জমি, পুকুর ও জলাশয় ছিল। তবে ‘ছালাম মিয়া হাউজিং’ প্রকল্পের নামে একটু একটু করে সেগুলো ভরাট করে প্লট বিক্রি করা হচ্ছে। জাগুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত ছালাম মিয়া হাউজিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দুই বছর আগে মারা গেলে তার ছেলে ওহায়েদুর আনাম তানু পৈতৃক ব্যবসার দেখভাল করছেন।

স্থানীয়দের তথ্যমতে, ৩০-৪০ বছর আগে প্রভাবশালী ছালাম চেয়ারম্যান কাগজপত্র তৈরি করে পুকুরটির মালিক বনে গেছেন। পুকুরের পশ্চিম প্রাশে ড্রেজার বসিয়ে বালু দিয়ে একাংশ ভরাট করেছেন।

পুকুরের পাশের দোকানদার কামাল হোসেন বলেন, ‘২০ বছর ধরে এই দোকানে বসে পুকুরটি দেখছি। স্থানীয়রা গোসল ও গৃহস্থালি কাজে এটি ব্যবহার করে আসছেন। কয়েকদিন ধরে দেখছি ছালাম চেয়ারম্যানের ছেলে তানু বালু দিয়ে পুকুরটি ভরাট করছেন।

এ বিষয়ে ছালাম হাউজিংয়ের স্বত্বাধিকারী ওয়াহেদুর আনাম তানু বলেন, পুকুর ভরাটের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

তবে ছালাম মিয়া হাউজিংয়ের কেয়ারটেকার জাকির হোসেন বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের লোকজন এসে পাইপ খুলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কাগজপত্র দেখিয়ে বলেছি, এটা নালা জমি।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ শাখার পরিদর্শক ইমরান রাজিব বলেন, ছালাম হাউজিংয়ের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানো হবে। তারা দাবি করেছেন, এটি নালা জমি ছিল। কিন্তু আমরা বলে এসেছি, সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া ভরাট করা যাবে না।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, পুকুর ভরাট বন্ধে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

শাওন খান/এসআর/জিকেএস

Read Entire Article