নওগাঁর মান্দায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বেদখল হওয়া কোটি টাকা মূল্যের একটি জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় মান্দার আমলি আদালত-২ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ এ আদেশ দেন। ‘সরকারি জমি দখলে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী তিন শিক্ষার্থীর রেস্তোরাঁ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নজরে আসার বিষয়টি উল্লেখ করে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ জারি করেন তিনি।
একইসঙ্গে সড়ক বিভাগের মূল্যবান এই জমি বেদখল হওয়ার পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন:
মান্দা থানার আমলি আদালত-২ এর বেঞ্চ সহকারী আবু হাসানাত নয়ন আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোটি টাকা মূল্যের জমি বেদখলের পেছনে আর কারা কারা জড়িত, সে বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে গভীরভাবে তদন্তের জন্য আদেশ দিয়েছেন বিচারক। সেইসঙ্গে জমিটি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাগো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফেরিঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের জমিতে অবৈধভাবে রেস্তোরাঁ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নওগাঁয় নেতৃত্ব দেওয়া তিন ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। বদলির আগে জমিটি অবৈধ দখলে নিয়ে তাদের উপহার দিয়েছেন খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের পর গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে কাজ করেন শাহ আলম মিয়া। এ সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নওগাঁয় নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র প্রতিনিধি রিপন, ফাহিম ও সজিব নামের তিন শিক্ষার্থীর। ইউএনওর বৈধ-অবৈধ সব কাজে সরাসরি সহযোগিতা করতেন তারা। বিনিময়ে বদলির আগে তাদের উপহার হিসেবে সড়ক বিভাগের কোটি টাকা মূল্যের জমি অবৈধ দখলে নিয়ে উপহার হিসেবে দেন ইউএনও। এরপর ওই জমিতে একটি রেস্তোরাঁ তৈরি করেন ওই তিন যুবক। ‘মান্দা রিভার কোর্ট’ হিসেবে যার নামকরণ করেন ইউএনও শাহ আলম মিয়া। বদলির আগের দিন ১৪ জুলাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সেটি উদ্বোধনও করেন তিনি।
আরমান হোসেন রুমন/এসআর/এমএস