দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে চলছে অনলাইনে ভর্তির আবেদন। গত ১২ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
এদিকে, অনলাইন আবেদন শুরুর পর গত ১০ দিনে প্রায় পৌনে ছয় লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। যার মধ্যে ৪ লাখের বেশি সরকারি স্কুলে। বিপরীতে বেসরকারি স্কুলে আবেদনে আগ্রহ কম শিক্ষার্থীদের। এবার সরকারি-বেসরকারি ৩ হাজার ৮৭৮টি স্কুলে বিদ্যালয়ে শূন্য আসন সংখ্যা ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩টি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার উপ-পরিচালক আজিজ উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
মাউশির তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৭৯ হাজার ১৯৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে অনলাইনে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে আবেদন করেছেন ৪ লাখ ৫৭৬ জন। অথচ সরকারি স্কুলে এবার সর্বমোট আসন এক লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি। সেই হিসাবে মোট আসনের প্রায় চারগুণ আবেদন জমা পড়েছে সরকারি স্কুলে। এখনো ৯ দিন আবেদন প্রক্রিয়া চলবে। সেক্ষেত্রে সরকারি স্কুলে প্রতিযোগিতাও আরও বাড়বে।
অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক আসন থাকলেও বেসরকারি স্কুলে আবেদন কম। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার পর্যন্ত বেসরকারিতে আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৯টি। অথচ এবার দেশের বেসরকারি স্কুলে মোট আসন সংখ্যা ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি। অর্থাৎ, মোট আসনের ১০ ভাগের দুই ভাগ আবেদনও জমা পড়েনি। বাকি ৯ দিনে পর্যাপ্ত আবেদন জমা না পড়লে স্কুলগুলোর আসন ফাঁকাই থাকবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- এবার অনলাইনে ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা। টেলিটক সিম ব্যবহার করে এ ফি পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে, ডিজিটাল লটারির পর আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম ধাপের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ২২-২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি চলবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপের তালিকা থেকে ভর্তি নেওয়া হবে ২৬-৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য https://gsa.teletalk.com.bd/ এ লিঙ্কে প্রবেশ করে আলাদাভাবে আবেদন করতে পারবেন।
এএএইচ/জেএইচ