সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফিরেছে

1 month ago 27

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে নওগাঁর পাইকারি বাজারে সরবরাহ সংকটে হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠে দেশীয় পেঁয়াজের বাজার। ওই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা দরে। এক মাসের ব্যবধানে দেশীয় নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই দাম নেমে এসেছে ৯০ টাকায়। পেঁয়াজের বাজারে বড় ধরনের এ দরপতনে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের গোস্তহাটির মোড় পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক মাস আগে দেশীয় পেঁয়াজের সংকট থাকলেও বর্তমানে হঠাৎ দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। দীর্ঘ সময় মজুত রাখায় এসব পেঁয়াজে ট্যাগ (ছোট চারা) গজিয়েছে। তাই পেঁয়াজ থেকে ট্যাগ ছাঁটাই করতে ব্যস্ততা বেড়েছে শ্রমিকদের। ছাটাইয়ের পর মানভেদে প্রতি কেজি পুরনো দেশীয় পেঁয়াজ ৮৮-৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে বাজারে দেশীয় নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এসব ছাড়াও বাজারে যোগ হয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ। প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফিরেছে

শহরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকা থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা শিক্ষার্থী মোবাশ্বের ও সাকিব বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে ছাত্রাবাসে খাওয়ার খরচ এক বছরের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। ১ মাস আগে সংকট দেখিয়ে যেই পেঁয়াজের দাম ১৬০ টাকা কেজি নিলো। ওই পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজিতে পেলাম। অবৈধ মজুতের চিহ্ন পেঁয়াজের আকৃতি দেখে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে।

হাট নওগাঁ মহল্লা থেকে আড়তে আসা রবিউল আওয়াল মাহী বলেন, সবসময় বাজার সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে ফিরতে হয় আমাদের। প্রশাসন টাস্কফোর্স কমিটিসহ বিভিন্ন নামে-বেনামে কমিটি তৈরি করে অভিযান দেয়। নজরদারির অভাবে সেই অভিযানের সুফল বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। একমাস পর অর্ধেক দামে পেঁয়াজ কিনতে পেরে কিছুটা স্বস্তি পেলাম।

সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফিরেছে

মেসার্স আল রাফি আউয়াল ট্রেডার্সের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মাহমুদ আলী বাবু বলেন, তিনদিন ধরে বাজারে দেশীয় নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজ চলে এসেছে। তাই তিনদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম অন্তত ১০ টাকা কমেছে। মজুতদারদের কারণে বাজারে অস্থিরতা হয়েছিল।

বেলাল পেঁয়াজ আড়তের ব্যবসায়ী আহসান হাবীব বলেন, একমাস আগে পেঁয়াজচাষি থেকে শুরু করে অনেক ব্যবসায়ী অবৈধ মজুত রেখে বাজারে পেঁয়াজের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করেছিল। তাদের কারণে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে নতুন পেঁয়াজ আসতে থাকায় ক্রমাগত বাজার দর কমছে। আশা করছি আগামী একমাসের মধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০-৪৫ টাকায় নেমে আসবে।

আরমান হোসেন রুমন/আরএইচ/এএসএম

Read Entire Article