সরিষা ফুলের সৌন্দর্যে দর্শনার্থীদের ভিড়, ছবি তোলার হিড়িকে দিশাহারা কৃষক

মাঠের পর মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ। শীতের মিষ্টি রোদে বাতাসে দুলছে সরিষা ফুল, আর সেই হলদে আভায় প্রকৃতি যেন সেজেছে এক নতুন রূপে। প্রকৃতির এ অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার গাবতলী গ্রামের বিলের পাড়ে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন শত শত দর্শনার্থী। তবে পর্যটকদের এ অনিয়ন্ত্রিত পদচারণায় এখন চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ​ শহরের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে একটু শান্তির খোঁজে মানুষ ছুটে আসছেন গ্রামীণ এ মনোরম পরিবেশে। কেউ সরিষা ক্ষেতের মাঝে শুয়ে, কেউ বসে, আবার কেউ দলবেঁধে ছবি ও সেলফি তোলায় মত্ত। কিন্তু এ আনন্দের আড়ালে চাপা পড়ছে কৃষকের দীর্ঘশ্বাসের গল্প। ছবি তোলার জন্য দর্শনার্থীরা ক্ষেতের গভীরে ঢুকে পড়ছেন, যার ফলে পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে নষ্ট হচ্ছে কচি সরিষা গাছ। ​অনেক দর্শনার্থী স্মৃতি হিসেবে বা শখের বসে গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে নিচ্ছেন, যা সরাসরি সরিষার ফলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।  আবু সাঈদ নামের এক কৃষক বলেন, আমি পঁচিশ টাকা শতাংশ জমি চাষ করিয়েছি, সার দিয়েছি বীজ বুনেছি এখন এই কষ্টের ফসল মানুষ ছবি তুলতে এসে নষ্ট করতেছে। বাধা দিলেও তারা মানে না এখন একেবারে নিরুপায় হয়ে গেছি। এমনি কইরা যদি

সরিষা ফুলের সৌন্দর্যে দর্শনার্থীদের ভিড়, ছবি তোলার হিড়িকে দিশাহারা কৃষক
মাঠের পর মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ। শীতের মিষ্টি রোদে বাতাসে দুলছে সরিষা ফুল, আর সেই হলদে আভায় প্রকৃতি যেন সেজেছে এক নতুন রূপে। প্রকৃতির এ অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার গাবতলী গ্রামের বিলের পাড়ে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন শত শত দর্শনার্থী। তবে পর্যটকদের এ অনিয়ন্ত্রিত পদচারণায় এখন চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ​ শহরের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে একটু শান্তির খোঁজে মানুষ ছুটে আসছেন গ্রামীণ এ মনোরম পরিবেশে। কেউ সরিষা ক্ষেতের মাঝে শুয়ে, কেউ বসে, আবার কেউ দলবেঁধে ছবি ও সেলফি তোলায় মত্ত। কিন্তু এ আনন্দের আড়ালে চাপা পড়ছে কৃষকের দীর্ঘশ্বাসের গল্প। ছবি তোলার জন্য দর্শনার্থীরা ক্ষেতের গভীরে ঢুকে পড়ছেন, যার ফলে পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে নষ্ট হচ্ছে কচি সরিষা গাছ। ​অনেক দর্শনার্থী স্মৃতি হিসেবে বা শখের বসে গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে নিচ্ছেন, যা সরাসরি সরিষার ফলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।  আবু সাঈদ নামের এক কৃষক বলেন, আমি পঁচিশ টাকা শতাংশ জমি চাষ করিয়েছি, সার দিয়েছি বীজ বুনেছি এখন এই কষ্টের ফসল মানুষ ছবি তুলতে এসে নষ্ট করতেছে। বাধা দিলেও তারা মানে না এখন একেবারে নিরুপায় হয়ে গেছি। এমনি কইরা যদি প্রতিদিন শত শত লোক আইসা আমাগো ক্ষেত নষ্ট করে তবে ফসল ঘরে তুলা সম্ভব না। সবার কাছে প্রতিদিন অনুরোধ জানাই আপনারা ফসল নষ্ট কইরেন না কিন্তু কেউ কথা শুনে না।  কৃষক আবু সাঈদের মত— এই এলাকার অনেক কৃষকই এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে সরিষা ক্ষেতে দর্শনার্থীদের ভিড়ের জন্য। কৃষকরা বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও দর্শনার্থীরা তা কানে তুলছেন না। অনেক ক্ষেত্রে নিষেধ করলে তর্কে জড়িয়ে পড়ছেন তারা। কৃষকরা সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় তারা লাভের আশা করেছিলেন। কিন্তু দর্শনার্থীদের অসচেতনতায় মাঠের বিভিন্ন স্থানে ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকদের দাবি, সেলফির নেশায় যাতে তাদের ফসল নষ্ট না হয়। একই সঙ্গে তারা দর্শনার্থীদের অনুরোধ জানান, সরিষা ফুল না ছেড়ার।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow