সরিয়ে দেওয়া হলো সেই দুই অডিট অফিসারকে
‘মিনিস্ট্রি অডিটে ঘুষের রেট এক মাসের বেতন’ শিরোনামে গত রোববার কালবেলায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে প্রতিবেদনে নাম আসা দুই অডিট অফিসার সুলতান আহমেদ ও ফিরোজ হোসেনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) অডিট অধিদপ্তর তাদের ডিআইএ থেকে প্রত্যাহার করে নিজ বিভাগের ফিরিয়ে নিয়েছে। নিয়ম অনুয়ায়ী, অডিট অধিদপ্তর থেকে আসা কর্মকর্তাদের তিন বছর পর প্রত্যাহার করে নিতে হয়। কিন্তু সুলতান ও ফিরোজ এই দপ্তরে আট বছেরের বেশি সময় ধরে ছিল। তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাপক ঘুষ নেওযার অভিযোগ ছিল। জানতে চাইলে ডিআইএ পরিচালক সহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আজ মঙ্গলবার তাদের ডিআইএ থেকে নিজ দপ্তরের প্রত্যাহার করে নিয়েছে অডিট অধিদপ্তর। তিনি এই দপ্তরের যোগদান করাই পরপরই তাদের প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দেন বলে জানান তিনি। এর আগে কালবেলা প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঘুষকাণ্ড তদন্ত করতে ডিআইএ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দপ্তরটির যুগ্ম পরিচালক
‘মিনিস্ট্রি অডিটে ঘুষের রেট এক মাসের বেতন’ শিরোনামে গত রোববার কালবেলায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে প্রতিবেদনে নাম আসা দুই অডিট অফিসার সুলতান আহমেদ ও ফিরোজ হোসেনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) অডিট অধিদপ্তর তাদের ডিআইএ থেকে প্রত্যাহার করে নিজ বিভাগের ফিরিয়ে নিয়েছে।
নিয়ম অনুয়ায়ী, অডিট অধিদপ্তর থেকে আসা কর্মকর্তাদের তিন বছর পর প্রত্যাহার করে নিতে হয়। কিন্তু সুলতান ও ফিরোজ এই দপ্তরে আট বছেরের বেশি সময় ধরে ছিল। তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাপক ঘুষ নেওযার অভিযোগ ছিল।
জানতে চাইলে ডিআইএ পরিচালক সহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আজ মঙ্গলবার তাদের ডিআইএ থেকে নিজ দপ্তরের প্রত্যাহার করে নিয়েছে অডিট অধিদপ্তর। তিনি এই দপ্তরের যোগদান করাই পরপরই তাদের প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দেন বলে জানান তিনি।
এর আগে কালবেলা প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঘুষকাণ্ড তদন্ত করতে ডিআইএ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দপ্তরটির যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ইদ্রিস আলীকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন উপপরিচালক সাহানুল কবির এবং শিক্ষা পরিদর্শক আফরুজ জামান। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রোববার কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সারা দেশে কর্মরত হাজার হাজার শিক্ষকের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেক শিক্ষক প্রতিবেদনটি নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষকরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানান, এ ঘুষ গ্রহণ নতুন কোনো ঘটনা নয়। তাদের ভাষ্যমতে, যুগের পর যুগ মিনিস্ট্রি অডিটের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে এক মাসের বেতন নেন কর্মকর্তারা; কিন্তু চাকরির ভয়ে কেউ মুখ খোলেননি। এ ঘুষ বন্ধ করতে হবে।
What's Your Reaction?