ঋতু বদলের সময় ছোট-বড় সবাই কমবেশি সর্দি-জ্বরে ভোগেন। শীত প্রায় চলেই এসেছে, অনেকেই এখন সর্দি-জ্বরে ভুগছেন। ওষুধ খেলেও যে সঙ্গে সঙ্গে কমে যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই। তাহলে উপায়? সর্দি-জ্বরের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে ঘরোয়া কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন-
১. ঠান্ডা লাগলে বিশ্রাম নেওয়া খুব জরুরি। কারণ এ সময় শরীরের ক্লান্তি বাড়ে। তাই যত কাজই থাকুক না কেন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
২. সর্দি-জ্বরে ঠিকমতো পানি খাওয়া হয় না। তাই শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। ফলে আরও অসুস্থ বোধ করবেন। তাই এ সময়ে বেশি করে পানি খাওয়াও জরুরি।
৩. সর্দি-কাশিতে নাক ও গলায় সমস্যা হতেই থাকে। এ সময় বারবার গরম পানিতে গার্গল করুন ও গরম পানির ভাপ নিন।
৪. এ সময় হজমশক্তিও কমে যায়। তাই বেশি তেল-মসলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে রান্না করা হালকা খাবার পাতে রাখুন।
৫. অনেকেই মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। তবে যদি এখন আপনি সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন তাহলে মিষ্টি এড়িয়ে চলুন। সর্দি-জ্বরে মিষ্টি খেলে দেহে প্রদাহ বাড়ে। ফলে ইমিউনিটি কমে যায়। দেহে প্রভাব বিস্তার করে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া। সমস্যা থেকে সেরে উঠতে অনেকটা সময় লেগে যায়।
৬. সর্দি-জ্বর হলে অনেকেই শরীর গরম করতে বারবার কফি পান করেন। তবে কফিতে থাকে ক্যাফেইন নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদানই শরীরে প্রদাহ বাড়ায়। ফলে সর্দি-জ্বর কমার বদলে আরও বেড়ে যায়।
৭. সর্দি-জ্বরে বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। তবে এ ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে শরীরের প্রদাহ বাড়তে পারে। ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে ইমিউনিটি। প্রভাব বাড়ায় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া। যার কারণে সর্দি-কাশি থেকে সেরে উঠতে অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে।
৮. দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে কাশি-জ্বরের মতো শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শ্লেষ্মা নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে সর্দি-কাশি থেকে সেরে উঠতে সময় লাগে। তাই এসময় দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
সূত্র: আস্ক নেসলে/ ওয়েব এমডি
জেএমএস/জিকেএস