সলিমুল্লাহ মেডিকেলে হামলার ঘটনায় অধ্যক্ষের মামলার আবেদন

1 month ago 18

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার ও বহিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এ সংক্রান্ত একটি মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ মামলার আবেদন করেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই আনুমানিক সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনের সমর্থনে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে দফায় দফায় মিছিল চলতে থাকে। সকাল আনুমানিক ১০টার পর থেকে কোটা আন্দোলনের সমর্থনে একটি মিছিল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে হাসপাতালের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা (সাব্বির, সাদেকুল, জয়, তন্ময়) শিক্ষার্থীদের বাধা দেন।

এরপর সবাই লেডিস হোস্টেল এরিয়াতে একত্রিত হন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রী। একপর্যায়ে বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন মোতাবেক (কপি সংযুক্ত) উল্লিখিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

যাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- ডা. শাকের, ডা. তন্ময়, ডা. সাদেকুল, ডা. সাব্বির, ডা. দুর্জয় পাল, ডা. গোলাম রসুল জয়, ডা. সাফিনাজ আক্তার, ডা. শহীদুল, ডা. ফাহিম, ডা. আজিজ, ডা. শাফিন, ডা. নুরুজ্জামান, ডা. সাগর, ডা. মাইদুল ইসলাম, ডা. রাতুল সিকদার, ডা. আসাদুজ্জামান, ডা. মজনু মিয়া, ডা. নবাব শেখ, প্রাপ্ত, আলিফ, নওশাদ, আনিস প্রমুখ।

এর আগে মেডিকেল কলেজের একাডেমি কাউন্সিলের বৈঠকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এক্ষেত্রে ইন্টার্ন চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও বহিরাগত হামলাকারীদের অপরাধের ধরণ অনুযায়ী তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। অপরাধের ধরণ অনুযায়ী ১০ বছরের জন্য বহিষ্কার থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একই সঙ্গে হামলায় জড়িত ও উসকানির অভিযোগে একাধিক শিক্ষককে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।

এএএম/ইএ/জিকেএস

Read Entire Article