গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মরত সাংবাদিকরা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা এই বিক্ষোভে অংশ নেন ও প্রতিবাদ জানান।
এসময় বক্তারা জানান, প্রকাশ্য দিবালোকে একজন সাংবাদিককে বর্বর-নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই রাষ্ট্র এখনো কিছু করেনি। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো? জুলাই আন্দোলনে হলো, বহু সাংবাদিক আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন। এটাই কি সাংবাদিকদের প্রতিদান?
তারা আরও জানান, একজন সাংবাদিক মারা গেলেন- কয়টা রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত প্রতিবাদ করছে? কয়টা সুশীল সমাজ সাংবাদিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে? একজনকে পাথর মেরে মাথা থেতলিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভিডিও ফুটেজ আছে। তবুও এই রাষ্ট্র কিছু করতে পারছে না। এই অথর্ব প্রশাসন দিয়ে আমরা কি করব?
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার শাহরিয়ার নাঈম বলেন, সাংবাদিক তুহিনের মরদেহ দেখার মত শক্তি আমাদের হয়নি। জানি না তার পরিবার কিভাবে তাকে দেখবে। এত নিষ্ঠুরভাবে মারা হয়েছে। এই নরপিশাচদের ফাঁসি দিতে হবে। আমাদের আর কোনো দাবি নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিবাররা চাপ দিচ্ছে সাংবাদিকতা ছেড়ে দিতে। দেশের বাহিরে চলে যেতে বলছে। সাধারণ মানুষদের বলব আপনারা সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ান।
সাংবাদিক প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, এই সন্ত্রাসীদের বিচার হবে কিনা সেটা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। এই রাষ্ট্র সব সময় অন্ধ চোখের ভূমিকায় থাকে। সাগর-রুনি হত্যার বিচার আজও হয়নি। বাংলা নিউজের নাদিমকেও এভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই রাষ্ট্রের বিচার কোথায়? হত্যার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সাংবাদিক নেতারা বিবৃতি দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রকে বলবো, যদি মনে করেন সংবাদপত্র বন্ধ করে আপনারা চলতে পারবেন, তাহলে ভুল। এই চতুর্থ স্তম্ভ বন্ধ হলে রাষ্ট্রযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাবে।
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের হত্যার বিচার চেয়ে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন আমার দেশ, টিবিএন, বাংলানিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা।
আরএএস/এনএইচআর/এএসএম