‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে চাঁদা দাবি, হাতেনাতে গ্রেপ্তার ১
মিরপুরে ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম এক প্রতারককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দারুসসালাম থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
দারুসসালাম থানার এসআই আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ৭ ও ৮ ডিসেম্বর ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের কয়েকজন কর্মকর্তার মোবাইলে পরপর অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল আসে। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে কলদাতারা নিজেদের ‘সাংবাদিক’ পরিচয় দিয়ে মাসিক চাঁদা দাবি করে। প্রতারকরা ‘ভুয়া’ রিপোর্ট প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট করবে।
পরদিন মঙ্গলবার চক্রের কয়েকজন সদস্য প্রতিষ্ঠানটির কল্যাণপুরের খাজা সুপার মার্কেটের অফিসে হাজির হয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করে কর্মকর্তাদের ভয় দেখায়। এমনকি প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরার হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কৌশলগতভাবে চক্রের একজন সদস্যকে ‘চূড়ান্ত আলোচনার জন্য’ অফিসে ডেকে নেন। সেই সূত্র ধরে মো. জাহাঙ্গীর আলম অফিসে এলে আগেই অবস্থান নেওয়া পুলিশ তাকে ঘটনাস্থলেই গ্রেপ্তার করে।
পরে জাহাঙ্গীর আলম পুলিশের কাছে
মিরপুরে ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম এক প্রতারককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দারুসসালাম থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
দারুসসালাম থানার এসআই আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ৭ ও ৮ ডিসেম্বর ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের কয়েকজন কর্মকর্তার মোবাইলে পরপর অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল আসে। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে কলদাতারা নিজেদের ‘সাংবাদিক’ পরিচয় দিয়ে মাসিক চাঁদা দাবি করে। প্রতারকরা ‘ভুয়া’ রিপোর্ট প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট করবে।
পরদিন মঙ্গলবার চক্রের কয়েকজন সদস্য প্রতিষ্ঠানটির কল্যাণপুরের খাজা সুপার মার্কেটের অফিসে হাজির হয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করে কর্মকর্তাদের ভয় দেখায়। এমনকি প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরার হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কৌশলগতভাবে চক্রের একজন সদস্যকে ‘চূড়ান্ত আলোচনার জন্য’ অফিসে ডেকে নেন। সেই সূত্র ধরে মো. জাহাঙ্গীর আলম অফিসে এলে আগেই অবস্থান নেওয়া পুলিশ তাকে ঘটনাস্থলেই গ্রেপ্তার করে।
পরে জাহাঙ্গীর আলম পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করে।
ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড জানায়, প্রতারক চক্রটির কল রেকর্ডিংসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে এবং তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। আমরা আইনের প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল এবং এ চক্রের সব সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ, বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি, ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ তৈরি করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে চাইছিল একটি প্রতারত চক্র। এ ঘটনায় মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মেছমাউল আলম মোহন, খাদিজা আক্তার পূর্ণী, এস এম মোরশেদ, আব্দুর রহমান সজীব, রূপক ও মীর আনিসের নাম উল্লেখ করে আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে দারুসসালাম থানার এসআই বলেন, এটি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা ও চাঁদাবাজ চক্র। আসামি চাঁদার বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং মামলা অনুযায়ী অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।