গাজীপুর মহানগরীর চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
সংগঠনটি জানায়, এভাবে একজন সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা শুধুমাত্র অনাকাঙ্ক্ষিতই নয় বরং সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।
শনিবার (৯ আগস্ট) এমএসএফ সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় তুহিন দৌড়ে ঈদগাঁ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। দুর্বৃত্তরা তাকে দোকানের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তুহিন মারা গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
জানা যায়, দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এক যুবককে মারধর ও ধাওয়া দেওয়ার ঘটনা ভিডিও করায় সাংবাদিক তুহিনকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন মনে করে, একজন সাংবাদিকের ওপর এহেন আক্রমণ করে হত্যা করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি অশনিসংকেত। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ব্যক্ত করা হয়ে থাকে। সরকার দেশের সব নাগরিকের মতো সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সংগঠনটির মতে, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন বাধাগ্রস্ত করা, ভয় দেখানো এবং চিরতরে তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার একটি ভয়ংকর অপতৎপরতার উদাহরণ হচ্ছে এই ঘটনা।
সাংবাদিকতার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রত্যেক সরকারের অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত বলে এমএসএফ মনে করে।
এমএসএফ সাংবাদিক তুহিন হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি অভিযুক্তরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হওয়ায় ঘটনাস্থলের সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ গুরত্বারোপ করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায়।
এফএইচ/এনএইচআর/এএসএম