সাইয়েদ আব্দুল্লাহর অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে ফেসবুক

3 months ago 36

সম্প্রতি বহুল আলোচিত ছাগলকাণ্ডের ঘটনা সামনে আনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহর অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

গত শনিবার (২২ জুন) সকাল থেকে তিনি তার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারছেন না বলে নিজেই জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, গত ১৯ জুন পরিবারের ছবি দিয়ে মুশফিকুর ও মতিউরের সম্পর্কের বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করার পর রাতে আমি নোটিফিকেশন পাই যে, আমার অ্যাকাউন্টে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। তখন দুই ঘণ্টার জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়। এরপর তা পুনরায় চালু হয়। কিন্তু ২২ জুন সকালে আমি দেখতে পাই আমার অ্যাকাউন্ট ‘সাসপেন্ড’ বা স্থগিত করা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার ক্ষেত্রে ফেসবুক আমাকে নির্দিষ্ট কোনো কারণ বলেনি। তবে জানিয়েছে, আমার কর্মকাণ্ড ফেসবুকের নীতিমালার সঙ্গে মেলে না। এ কারণেই অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে।

ঢাবির সাবেক এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমার ধারণা আমার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ফেসবুকের কাছে একাধিক রিপোর্ট করা হয়েছে। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে মানুষের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। তারা নাগরিক সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করছে না; যারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদের সুরক্ষা দিতে পারছে না। উল্টো কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে। ফেসবুকের এ আচরণ দুর্নীতিবাজদের উৎসাহিত করবে।

ঈদুল আজহার আগে ১২ লাখ টাকার ছাগলের বায়না করা এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের কর্মকাণ্ড, তার পরিচয় এবং উভয়ের সম্পর্ক নিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দিয়েছিলেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ। সেসব পোস্টের ভিত্তিতেই বিভিন্ন গণমাধ্যম অনুসন্ধান করে ওই কর্মকর্তার দুর্নীতির তথ্য বের করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে মতিউর প্রথমে এনবিআর থেকে এবং পরে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে অপসারিত হন। সর্বশেষ তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যদিও তিনি এর আগেই দেশত্যাগ করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

সম্প্রতি মতিউরপুত্র ইফাতের রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়াও তিনি ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেন বলে খবর প্রকাশ হয়।

এরপর থেকে ইফাতের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন এবং মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তি থাকার তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। পুঁজিবাজারেও রয়েছে তার মোটা অংকের বিনিয়োগ।

এমএইচএ/এমকেআর/জেআইএম

Read Entire Article