সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে জাতিকে নেতৃত্বহীন করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ

1 month ago 14

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কোরআন এবং প্রখ্যাত বাগ্মী। একজন বিশ্বখ্যাত আলেম হিসেবে মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রেই তার ব্যাপক পরিচিতি ছিল। তিনি বারবার জাতীয় সংসদের সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। আওয়ামী-বাকশালিরা কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে জামায়াত নির্মূল ও জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য সাঈদীকে সর্বপ্রথম ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় উত্তরা পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত এক ষান্মাসিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, আল্লামা সাঈদীকে ফাঁসি দিতে পারেনি। আল্লাহ তায়ালার ফয়সালা ছিল ভিন্ন। ২০১২ সালে স্কাইপ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে সে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয় এবং সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর অপহরণের স্বৈরাচারের নীলনকশা জাতির সামনে সুস্পট হয়ে ওঠে। তারপরও তাকে দীর্ঘ ১৫ বছর কারাভোগ করতে হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি এখনো রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে।

সাঈদীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, রুকনিয়াত কোনো পদ-পদবি নয় বরং একটি মানের নাম। আমরা আল্লাহর দ্বীনের জন্য জানমাল কোরবানি করার প্রত্যয় নিয়েই শপথবদ্ধ হয়েছি। আর শপথের মূল কথায় হলো, ‘আমার নামাজ, আমার কোরবানি, জীবন ও মৃত্যু সব কিছু আল্লাহর জন্য’। তাই আল্লাহর জমিন আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের ময়দানে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে হবে।

তিনি ফ্যাসিবাদে সরকারের আমলে জামায়াতের ওপর জুলুম-নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ১৮ বছরে ১১ শীর্ষ নেতাকে শহীদ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমিরও রয়েছেন। এসময় আমাদের মোট শহীদের সংখ্যা ৫'শর অধিক। মারাত্মক আহত হয়েছেন ৫ হাজার। এদের মধ্যে অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ ও দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। দুই হাজার নারীসহ লক্ষাধিক মানুষ কারাবরণ করেন। কিন্তু কোনোভাবেই জামায়াতের অগ্রযাত্রা রোধ করা যায়নি।

আরএএস/এমএএইচ/এএসএম

Read Entire Article