সমুদ্রে ৫৮ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় ১১ জুন। এরপর থেকে সাগরে ইলিশ ধরছেন জেলেরা। ইলিশও ধরা পড়ছে বেশ। তবে বৈরী আবহাওয়ায় টিকতে না পেরে জেলেরা কূলে ফিরে আসতে শুরু করেছেন।
জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথম দিকে ইলিশ অনেক কম ধরা পড়েছে। তবে গত কয়েকদিনে পরিমাণটা বেড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আলীপুর-মহিপুরে প্রচুর ইলিশ এসেছে। এতে হাসি ফুটেছে ট্রলার মালিক, আড়তদার, ব্যবসায়ী ও জেলেদের মুখে। কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে উপকূলের মৎস্য বন্দরগুলোতে।
চার দিন আগে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আলীপুর থেকে সমুদ্র মাছ শিকারে যান মাঝি জাহাঙ্গীর হোসেন। ১৮ জন জেলে নিয়ে চার দিনে মাছ পেয়েছেন ৬০ মণ। আরও মাছ শিকার করতে চাইলেও বৈরী আবহাওয়ায় টিকে থাকতে পারেননি। তীরে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু জাহাঙ্গীর মাঝি নয়, অনেক জেলেরাই ফিরছেন কম-বেশি মাছ নিয়ে।
৬০ মণ মাছ পাওয়া এফবি জামাল ট্রলারের মাঝি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে ছোট সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে। বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে তুলনামূলক অনেক কম। আমরা চার দিন আগে ১৮ জন জেলে সাগরে গেছিলাম। দুদিন ফিশিং করার পর আজকে (বুধবার) সন্ধ্যায আট হাজার ইলিশ নিয়ে ঘাটে এসেছি। মাছগুলো বিক্রি হয়েছে ৩৫ লাখে।’
আলীপুর বন্দরের আড়তদার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জেলেদের অনেকেই মাছ না পেয়ে ফিরে আসছেন। তবে কিছু জেলে মাছ পাচ্ছেন। গতকাল কয়েকটি ট্রলার কিছু মাছ পেয়েছে। তবে জাহাঙ্গীর মাঝি মাত্র চার দিনে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মাছ পেয়েছেন। জেলেদের সবাই এমনভাবে মাছ পেলে কষ্ট থাকতো না।’
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, সাগরে বেশ কিছুদিন ইলিশের খরা চলছিল। বর্তমানে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। বৃষ্টি থাকলে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়বে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় জেলেদের সতর্ক থাকা দরকার।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/জেআইএম