সাবেক এমপি জয়সহ ৫ জনের ৮৬ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ  

আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও দলটির সভাপতিমন্ডলীর প্রয়াত সদস্য মো. নাসিমের ছেলে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তানভির শাকিল জয়, তার পরিবারের তিন সদস্য ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির নামে থাকা ৮৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা রয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন দুদকের আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। হিসাব ফ্রিজ হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন- জয়ের স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, তার মা লায়লা আরজুমান্দ, ভাই তমাল মনসুর ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট মীর মোশাররফ হোসেন। মোশাররফ সাবেক মন্ত্রী মো. নাসিমের একান্ত সচিব ছিলেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। দুদকের পক্ষে সংস্থার উপপরিচালক আফরোজ হক খান এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।  আবেদনে বলা হয়, সাবেক এমপি জয় ক্ষমতার অপব্যবহার, নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন৷ তার নিজ ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবসমূহে লেনদে

সাবেক এমপি জয়সহ ৫ জনের ৮৬ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ  

আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও দলটির সভাপতিমন্ডলীর প্রয়াত সদস্য মো. নাসিমের ছেলে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তানভির শাকিল জয়, তার পরিবারের তিন সদস্য ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির নামে থাকা ৮৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা রয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন দুদকের আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

হিসাব ফ্রিজ হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন- জয়ের স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, তার মা লায়লা আরজুমান্দ, ভাই তমাল মনসুর ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট মীর মোশাররফ হোসেন। মোশাররফ সাবেক মন্ত্রী মো. নাসিমের একান্ত সচিব ছিলেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। দুদকের পক্ষে সংস্থার উপপরিচালক আফরোজ হক খান এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, সাবেক এমপি জয় ক্ষমতার অপব্যবহার, নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন৷ তার নিজ ও তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবসমূহে লেনদেন পরিচালনা করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুন্ধানকালে প্রাপ্ত ও সংগৃহীত তথ্যাদি ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযুক্তদের নামে ও তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে সর্বমোট ৮৬টি হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। 

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় , অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব হিসাবে রক্ষিত অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে ব্যাংক হিসাবসমূহে রক্ষিত অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে অনুসন্ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow