সাবেক সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানিকৃত ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনস্বার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ বিষয়ে বুধবার (১২ নভেম্বর) একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তৎকালীন সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় এই গাড়িগুলো আমদানি করেছিলেন। তবে সরকারের পরিবর্তন ও গত বছরের ৬ আগস্ট সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার পর এনবিআর শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল করে। ফলে সাবেক সংসদ সদস্যরা গাড়িগুলো বন্দর থেকে আর ছাড় করেননি।
জানা যায়, গাড়িগুলো এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিলুপ্ত সংসদ সদস্যদের এসব গাড়ির শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য নয় বলে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর জানায়। ফলে আমদানিকারকদের স্বাভাবিক হারে শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে হতো।
এনবিআরের বিশেষ আদেশে আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা শুল্ক-কর পরিশোধ করে আইনানুগভাবে গাড়িগুলো খালাস করতে চাইলে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম তা বিবেচনা করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর গাড়িগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ফেরত দেবে।
কাস্টমসের হিসাবে, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত এসব ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক ও করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। এর মধ্যে একক প্রতি সর্বোচ্চ শুল্ক ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমদানিকারকরা শুল্ক-কর পরিশোধ না করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। কিন্তু নিলামে কাঙ্ক্ষিত দর না ওঠায় কোনো গাড়ি বিক্রি হয়নি। শেষ পর্যন্ত গাড়িগুলো সরকারের মালিকানায় যাচ্ছে।

2 hours ago
6








English (US) ·