চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে চিকিৎসক কোরবান আলী নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ দুইজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৬ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এই আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজু। বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এএইচএম জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে আজ আসামি গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজু নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
আদালতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা-হুমকি
এদিকে আদালতে নির্ধারিত শুনানি চলাকালে গোলাম রসুল নিশান অনুসারী কিশোর গ্যাংয়ের ৫০ থেকে ৬০ জন সদস্য মহানগর দায়রা জজ আদালত কক্ষের সামনে ভিড় করে। শুনানি শেষে আদালতের কক্ষ থেকে আসামি গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজুকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত কাজে বাধা দেয়।
- আরও পড়ুন
- কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত সেই চিকিৎসক বাবার মৃত্যু
- চট্টগ্রামে বেসরকারি চিকিৎসাসেবা বন্ধ, চরম ভোগান্তি রোগী-স্বজনদের
- পটিয়ায় চিকিৎসককে মারধর, যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গেলে হুমকি দেয়। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় প্রথম আলোর আলোকচিত্রী সৌরভ দাশ ও ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফার মো. আলমগীরকে লাঞ্ছিত করে এবং ধাক্কা দিয়ে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয়। পরে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত ৫ এপ্রিল নগরের ফিরোজশাহ কলোনি এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলার মুখে পড়েছিলেন দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা। ছেলেকে মারধর করতে দেখে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও হামলার শিকার হন কোরবান আলী। গত ১০ এপ্রিল একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোরবান আলীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে গত ৬ এপ্রিল আকবর শাহ থানায় আলী রেজা একটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল।
এই মামলায় বাকি আসামিরা হলেন- মাহির সামি, আকিব, বগা সোহেল, ফয়জুল আকবর চৌধুরী আদর, প্রিন্স বাবু, আরিফুল্লাহ রাজু, অপূর্ব, সাগর, রিয়াদ, সংগ্রাম ও শাফায়েত।
এএজেড/এমআরএম/জিকেএস