অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধন, ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অনুসন্ধান শুরু করেছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
- আরও পড়ুন
- বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা
- হাসিনা-রেহানাকে শেয়ারবাজারের ৩ লাখ কোটি টাকা দেন শিবলী রুবাইয়াত
আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দাখিল করেছেন বলেও জানান আক্তার হোসেন।
মন্নুজান সুফিয়ানের মামলার বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, মন্নুজান ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক থেকে পরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিপিসির সুপারিশকৃত গ্রেডেশন তালিকার ৩ নং ক্রমিকে থাকা শামীমা সুলতানা বারীকে বাদ দিয়ে ডিপিসির সুপারিশের বাইরে ১৬ নং ক্রমিকে থাকা মিজানুর রহমানকে পদোন্নতি দেন। এজন্য মন্নুজান সুফিয়ান ও মিজানুর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক মহাপরিচালক আরও বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক থেকে উপ-মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে ডিপিসির পদোন্নতির জন্য সুপরিশকৃত যোগ্য প্রার্থী জোবেদা খাতুনকে বাদ দেওয়া হয়। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গ্রেডেশন তালিকার ৪৮ নং ক্রমিকে থাকা আবদুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাতকে পদোন্নতি দেন। এ জন্য দ্বিতীয় মামলায় মন্নুজান সুফিয়ান ও আবদুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাতকে আসামি করা হয়েছে।
এসএম/কেএসআর/জিকেএস