সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

3 hours ago 2

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য, মৎস্যমন্ত্রী এবং খাদ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আবদুল্লাহ আল নোমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন গুণী নেতা ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। ষাটের দশকের শুরু থেকে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছেন আবদুল্লাহ আল নোমান। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) সক্রিয় থেকে তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সাবেক এই মন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক ঘরানার বাইরেও চট্টগ্রামে সব দল-মতের মানুষের কাছে শ্রদ্ধার আসনে ছিলেন তিনি। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

এর আগে, ভোরে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান। এ তথ্য নিশ্চিত করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী।

নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি লেখেন, ‘নোমান ভাই আর নেই। বীর চট্টলার কৃতী সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আমার রাজনৈতিক অভিভাবক, জননেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আজ ভোর ৬টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মহান আল্লাহ প্রিয় নেতাকে ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন আমিন।’

আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি ছিলেন। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তাকে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি।
 

Read Entire Article