গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৭২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১৭৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫৫০ জন। মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৭২৭ জনকে।
এতে বলা হয়, পুলিশের এই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে, ১টি বার্মিজ চাকু, ১টি একনলা বন্দুক, ২টি এলজি, ১টি কিরিচ, ১টি রামদা ও ১টি কার্তুজ। বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর।
এদিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটনসহ মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ। ওই আসামির না রাব্বি (২০)। বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে কামরাঙ্গীরচর থানা ব্যাটারিঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশি উদ্ধার করা হয়।
কামরাঙ্গীচর থানা সূ্ত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে কামরাঙ্গীচর থানার একটি টহল টিম জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পায় যে, কামরাঙ্গীরচর থানাধীন ৫৬ নং ওয়ার্ডের ব্যাটারিঘাট এলাকায় বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের সামনে ময়লার স্তূপে একটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়লার স্তূপ থেকে একজন অজ্ঞাতনামা পুরুষের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কামরাঙ্গীচর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলাটির তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে উক্ত হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত রাব্বির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তির সহায়তায় রাব্বির অবস্থান শনাক্ত করে কামরাঙ্গীচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত রাব্বি উল্লিখিত হত্যার ঘটনায় নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রাব্বির ভাষ্যমতে, সে ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাব্বিরকে হত্যা করে তার মৃতদেহ গোপন করার জন্য ময়লার স্তূপে লুকিয়ে রাখে।