সাড়ে তিন হাজার বছর পুরোনো নগরীর সন্ধান মিলেছে কাজাখস্তানে

মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্থানের খোলা তৃণভূমিতে খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৩৩০০–১২০০ পর্যন্ত চলা ব্রোঞ্জ যুগের একটি নগরীর সন্ধান পাওয়া গেছে। আবিষ্কৃত ওই শহরের নাম সেমিয়ারকা। ধারণা করা হচ্ছে, এ নগরী খ্রিষ্টপূর্ব ১৬০০ সালের আশেপাশে বিশ্বের বাণিজ্য ও ক্ষমতার কেন্দ্র ছিল। এই শহরটি সাতটি উপত্যকার ওপর অবস্থান করায় স্থানীয়রা এটিকে সাত উপত্যকার শহর নামেও ডেকে থাকেন। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ববিদদের একটি দল কাজাখস্তানের এ এলাকা জরিপ করার পর নগরীর আকার ও সম্ভাব্য গুরুত্ব প্রকাশ পায়। তারা আবিষ্কার করেন, এখানে বৃহৎ বসতি, কেন্দ্রীয় আকারের রাজকীয় বা ধর্মীয় ভবন এবং সম্ভবত ব্রোঞ্জ ধাতু উৎপাদনের সুবিধা ছিল। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ মিলজানা রাদিভোজেভিচ জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে টিন ও তামার মিশ্রণে তৈরি ব্রোঞ্জ উৎপাদনের নিদর্শন পাওয়া অত্যন্ত বিরল। ব্রোঞ্জ যুগের ইউরেশিয়ান স্টেপে শত শত হাজার টিন ব্রোঞ্জের বস্তু পাওয়া গেলেও উৎপাদনের নিদর্শন খুব কম। টিন ব্রোঞ্জ দিয়ে শক্তিশালী সরঞ্জাম এবং অন্যান্য বস্তু তৈরি করা যেত। প্রত্নতত্ত্ববিদের মতে, সেমিয়ারকা সম্ভবত বৃহৎ শহরের মতো ঘনত্বযুক্ত

সাড়ে তিন হাজার বছর পুরোনো নগরীর সন্ধান মিলেছে কাজাখস্তানে

মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্থানের খোলা তৃণভূমিতে খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৩৩০০–১২০০ পর্যন্ত চলা ব্রোঞ্জ যুগের একটি নগরীর সন্ধান পাওয়া গেছে। আবিষ্কৃত ওই শহরের নাম সেমিয়ারকা। ধারণা করা হচ্ছে, এ নগরী খ্রিষ্টপূর্ব ১৬০০ সালের আশেপাশে বিশ্বের বাণিজ্য ও ক্ষমতার কেন্দ্র ছিল। এই শহরটি সাতটি উপত্যকার ওপর অবস্থান করায় স্থানীয়রা এটিকে সাত উপত্যকার শহর নামেও ডেকে থাকেন।

২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ববিদদের একটি দল কাজাখস্তানের এ এলাকা জরিপ করার পর নগরীর আকার ও সম্ভাব্য গুরুত্ব প্রকাশ পায়। তারা আবিষ্কার করেন, এখানে বৃহৎ বসতি, কেন্দ্রীয় আকারের রাজকীয় বা ধর্মীয় ভবন এবং সম্ভবত ব্রোঞ্জ ধাতু উৎপাদনের সুবিধা ছিল।

লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ মিলজানা রাদিভোজেভিচ জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে টিন ও তামার মিশ্রণে তৈরি ব্রোঞ্জ উৎপাদনের নিদর্শন পাওয়া অত্যন্ত বিরল। ব্রোঞ্জ যুগের ইউরেশিয়ান স্টেপে শত শত হাজার টিন ব্রোঞ্জের বস্তু পাওয়া গেলেও উৎপাদনের নিদর্শন খুব কম। টিন ব্রোঞ্জ দিয়ে শক্তিশালী সরঞ্জাম এবং অন্যান্য বস্তু তৈরি করা যেত।

প্রত্নতত্ত্ববিদের মতে, সেমিয়ারকা সম্ভবত বৃহৎ শহরের মতো ঘনত্বযুক্ত বসতি ছিল না। তবে সেমিয়ারকা আশেপাশের তাঁবু বা চারণভূমির স্থাপনা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং নগরের মতো কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করতো। শীতের তীব্রতা এবং মাটির অখণ্ডতার কারণে অনেক নিদর্শন মাটির নিচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্যাটেলাইট ছবি, স্পাই ফটোগ্রাফি এবং ম্যাগনেটোমেট্রি ব্যবহার করে ১৪০ হেক্টর এলাকায় বসতি চিহ্নিত করেছে। প্রাথমিক জরিপে ১১৪টি মাটির পাত্র এবং অন্যান্য প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে। খনন কাজ এরই মধ্যেই শুরু হয়েছে এবং আরও বড় আকারের ব্রোঞ্জ উৎপাদনের নিদর্শন পাওয়া যাচ্ছে।

jagonews24.com

বিশ্লেষকরা মনে করেন, সেমিয়ারকার অবস্থান এবং আকার ব্রোঞ্জ যুগের স্টেপে সাংগঠনিক দক্ষতা, ধাতু উৎপাদন ও অর্থনৈতিক সংযোগ থাকার প্রমাণ দেয়। এটি প্রমাণ হতে পারে যে, সেই সময়ে শুধু চারণভূমির নয় বরং স্মারকীয় নগর কেন্দ্রও সেখানে ছিল।

খনন থেকে আরও তথ্য বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শহরের জনসংখ্যা, স্থায়িত্বকাল এবং অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ড্যান লরেন্স বলেন, এই সাইট আমাদের ইউরেশিয়ার প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে যা ধারণা ছিল, তার অনেককিছু নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে।

সূত্র : সিএনএন 

কেএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow