‘সিআইপি’ মর্যাদা পেলেন দুই মালয়েশিয়া প্রবাসী

অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হয়েছেন দুই মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি। বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের ভুইয়া বাড়ির মো. রফিকুল ইসলাম ভুইঁয়ার ছেলে, রনি ভুইঁয়া এবং কুমিল্লা জেলার চান্দিঁনা উপজেলার কাসারা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হওয়ায় মালয়েশিয়া প্রবাসীরা তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তিন ক্যাটাগরিতে ৮৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ‘এনআরবি সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। তাদের ২০২৬ সালের জন্য এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী প্রবাসী বাংলাদেশি হিসেবে একজন, বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেল

‘সিআইপি’ মর্যাদা পেলেন দুই মালয়েশিয়া প্রবাসী

অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হয়েছেন দুই মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি।

বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের ভুইয়া বাড়ির মো. রফিকুল ইসলাম ভুইঁয়ার ছেলে, রনি ভুইঁয়া এবং কুমিল্লা জেলার চান্দিঁনা উপজেলার কাসারা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হওয়ায় মালয়েশিয়া প্রবাসীরা তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তিন ক্যাটাগরিতে ৮৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ‘এনআরবি সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। তাদের ২০২৬ সালের জন্য এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী প্রবাসী বাংলাদেশি হিসেবে একজন, বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী প্রবাসী বাংলাদেশি ৭৫ জন এবং বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক প্রবাসী বাংলাদেশি ক্যাটেগরিতে ১০ জনকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

গেজেটে বলা হয়, নির্বাচিত সিআইপিদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সরকার অনুমোদিত পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তার অনুকূলে প্রদত্ত এনআরবি সিআইপি পরিচয়পত্রের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পাবেন। সরকার কর্তৃক নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতি নির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হতে হবেন। দেশ ও বিদেশে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন।

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন। বাংলাদেশে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন।

এছাড়া ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। সিআইপির স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অনুরূপ সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তার বিনিয়োগ বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগ বিধান অনুসারে সংরক্ষণ করা হবে।

বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ‘চামেলী’ ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধা পাবেন।

নির্বাচিত বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (অনাবাসী বাংলাদেশি) তার অনুকূলে প্রদত্ত পরিচয়পত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হবার পর এক সপ্তাহের মধ্যে পরিচয়পত্রটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে জমা দেবেন। নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর ২০২৬ সালের জন্য নির্বাচিত বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (অনাবাসী বাংলাদেশি) পরিচয়পত্রের অনুকূলে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা কোনোক্রমেই দাবি করা যাবে না। সরকার সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে কোনও কারণ দেখানো ছাড়াই সিআইপি’র অনুকূলে প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা প্রত্যাহার করতে পারবে।

এমআরএম/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow