সিগারেটে করারোপ করে রাজস্ব বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগানো হয়নি

3 months ago 49

সিগারেটের ওপর কার্যকর করারোপের মাধ্যমে ধূমপানের হার কমিয়ে আনা এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির যে সুযোগ ছিল তা বাজেটে কাজে লাগানো হয়নি বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বেসরকারি সংগঠন উন্নয়ন সমন্বয়।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাজেট পরবর্তী এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে উন্নয়ন সমন্বয় নেতারা বলেন, বাজারের ৭০ ভাগের বেশি দখল করে আছে সস্তা নিম্নস্তরের সিগারেট। বাজেটে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দশ-শলাকার প্রতিটি প্যাকেটের খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছিলো। কিন্তু এই দাম মাত্র ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এই দাম ১১ শতাংশ বেড়েছে মনে হলেও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে প্রকৃতপক্ষে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বাড়েনি। এই স্তরের সিগারেটের ওপর ৫৮ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক যেখানে অন্যান্য উচ্চতর স্তরের সিগারেটের জন্য সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ ধার্য করা আছে।

আরও পড়ুন 

বিবৃতিতে বলা হয়, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের দশ-শলাকার একেকটি প্যাকেটের দাম ৩ টাকা, ৭ টাকা ও ১০ টাকা বাড়িয়ে যথাক্রমে ৭০ টাকা, ১২০ টাকা ও ১৬০ টাকা করা হয়েছে। এগুলোর ক্ষেত্রেও তামাক-বিরোধীদের প্রস্তাবনা প্রতিফলিত হয়নি। আপাতদৃষ্টিতে এই সিগারেটগুলোর দাম ৪ থেকে ৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে মনে হলেও ১০ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় এই তিন স্তরের সিগারেট আগের তুলনায় আসলে সহজলভ্যই হয়েছে।

কাঙ্ক্ষিত হারে দাম বাড়ানো না হলেও সিগারেটের বিক্রি চলতি বছরের তুলনায় ০.৩ শতাংশ কমতে পারে। তবে তামাকবিরোধী নাগরিক সংগঠনের প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে চলতি বছরের তুলনায় আসন্ন বছরে প্রায় ২ শতাংশ সিগারেট বিক্রি কমানো যেতো। সিগারেটের এই প্রস্তাবিত দাম বৃদ্ধির কারণে চলতি বছরের তুলনায় আসছে বছরে ৪ হাজার কোটি টাকার মতো বাড়তি (১১ শতাংশ বাড়তি) রাজস্ব পাওয়া যেতে পারে।

আরএএস/এসআইটি/জিকেএস

Read Entire Article