ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে মাথায় পড়ে নিহত আবুল কালাম আজাদের প্রথম জানাজা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ১০টায় পাঠানটুলী নতুন আইলপাড়া এলাকার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে নিহতের স্বজনরা নিজ গ্রাম শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরিবার জানিয়েছে, গ্রামে আরেকটি জানাজা পড়িয়ে মরদেহ সেখানেই দাফন করা হবে।
এদিকে আবুল কালামের মরদেহ পাঠানটুলী আনা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তার পরিবারের সদস্যদের আহাজারি আর বিলাপে পুরো এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন-
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু
মেট্রোরেল বন্ধ ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’র কারণে, জানালো কর্তৃপক্ষ
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে কমিটি
নিহতের শ্যালিকা নুসরাত কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তার দুলাভাই ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, আমার বোন কিভাবে বাঁচবে? আমার বাবা দেশের বাইরে থাকেন।

নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই সোহান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে বিবৃতি দিয়েছেন যে নিহতের স্ত্রীকে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে এবং তার সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকার নেবে। পরবর্তীতে তার স্ত্রী প্রিয়াকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। আমরা মনে করি সরকার যে কথা বলেছে, এটা পালন করলে কালামের পরিবারের সদস্যরা ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। কারণ এই পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জন করার মানুষ ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত কামালের বাবা-মা দুজনই মারা গেছেন। তিনি পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত পাঠানটুলীর নতুন আইলপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। সংসার জীবনে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
মো. আকাশ/এফএ/এএসএম

3 hours ago
4









English (US) ·