সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না, তদন্তে দোষী হলে ব্যবস্থা: প্রতিমন্ত্রী

3 months ago 42

বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার (৩১ মে) শেষ সময়ের পর ১৬ হাজার ৯৭০ জন বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। এজন্য ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। তদন্ত কমিটি কাউকে দোষী সাব্যস্ত করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (২ জুন) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সন্মেলন কক্ষে এক জরুরি সংবাদ সন্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জনকে অনুমোদন দিয়েছে। বিএমইটি ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে ছাড়পত্র দিয়েছে। এর মধ্যে ৩১ মে পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন মালয়েশিয়ায় গেছেন। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী যেতে পারেননি।

চুক্তি ছিল বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের কোটা ছিল। তালিকা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। যারা যাবে, তাদের ব্যাপারে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিয়েছি। বায়রার সঙ্গেও মিটিং করেছি। যারা কর্মী পাঠিয়েছে তারা যেন মানুষের লিস্ট তৈরি করে। তাহলে সে অনুযায়ী আমরা ফ্লাইটের ব্যবস্থা করবো। বায়রা কোনো লিস্ট দেয়নি। পরে সচিবের সঙ্গে কথা বলে ২১টি বিশেষ ফ্লাইট দিয়েছি।

এ অবস্থায় আমাদের অতিরিক্ত সচিব নুর মুহাম্মদ মাহবুবুল হককে প্রধান করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম সিন্ডিকেটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই সিন্ডিকেট বন্ধে আপনারা কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিন্ডিকেট বিশ্বাস করি না। এখানে মালয়েশিয়া থেকে যারা নেবে তারা যদি তাদের পছন্দের এজেন্সি দ্বারা নিতে চায় সেটা তাদের ব্যাপার।

গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি চারজন সংসদ সদস্য এ সিন্ডিকেটের মধ্যে আছে। তাদের এজেন্সিগুলো এ সিন্ডিকেটে রয়েছে। এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো এমপি সম্পর্কে জানি না। আমরা জানি, রিক্রুটিং এজেন্ট। এমপি জানারও কথা নয়, চেনারও কথা নয়। আমরা সিন্ডিকেটও বিশ্বাস করি না।’

যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা টাকা ফেরত পাবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা হয়রানির শিকার হয়েছেন এ কমিটির কাছে যে কেউ অভিযোগ করতে পারবেন। যারা বেশি টাকা দিয়ে ভিসা নিয়েছেন, কেউ যদি বলে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ভিসা নিয়েছেন। তারা এসে অভিযোগ করুক। তারা টাকা না পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বায়রা কেও জানিয়েছি, বায়রাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। তারা যদি অভিযোগ করে বায়রা ও এজেন্সির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।

মালয়েশিয়া আবারও শ্রমবাজার খুলবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমজার খোলার ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আরও অন্যান্য দেশের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। মালয়েশিয়ার কোম্পানি যে ৪৭টা কোম্পানিকে ব্ল্যাকলিস্ট করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএএস/এমআইএইচএস/জিকেএস

Read Entire Article