‘সবাই মিলে গড়বো দেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে সিরাজগঞ্জে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সেবামূলক ৩৬টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ১৪০টি অভিযোগ জমা পড়ে। যা দুদক আইনে উপস্থাপনযোগ্য ৯৫টি নিয়ে শুনানি হয়।
এর মধ্যে ৩৪টি তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তি, ৩২টি দুদকের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত, ২৬টি বিভাগীয় তদন্ত ও আদালতে বিচারাধীন থাকায় তিনটি অভিযোগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সেবাগ্রহীতারা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে হয়রানি, দুর্নীতি, অনিয়ম ও ঘুষ নেওয়াসহ নানা অভিযোগ তোলেন।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।
তিনি বলেন, সমাজের প্রতিটি অনিয়ম ও অসংগতি চোখে পড়লেই তা প্রতিরোধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা কঠিন হলেও সেবা গ্রহীতাদের সচেতনতা ও সেবাদাতাদের আন্তরিকতার মাধ্যমে এ প্রবণতা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী যদি সেবাদানে দায়িত্বশীল হন, তবে সেটিই হবে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় অবদান।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন শুধু তদন্ত নয়, বরং সেবার মান উন্নয়ন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত গণশুনানির আয়োজন করে থাকে। তার ভাষায়, অন্যায় করলে কেউ ছাড় পাবে না-আজকের গণশুনানিই তার স্পষ্ট প্রমাণ।
যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম সিরাজগঞ্জ পৌর ভূমি অফিস, তাড়াশ ও সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিরাজগঞ্জ পৌরসভা, সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, মহিলা অধিদপ্তর, রূপালী ব্যাংক, যমুনা সেতু ও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ।
এ সময় দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আকতার হোসেন, মহাপরিচালক (তদন্ত-১) রেজাউল কবির, রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক ও সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার ফারুক হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এম এ মালেক/এমআরএম