সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সে সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও একই মামলায় আরও দুজনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের চাঁদপাল গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল আলিম, মৃত জেলার উদ্দিন খলিপার ছেলে মো. আবু বক্কার, আব্দুল খালেকের ছেলে মোজাম শেখ ও আব্দুর রউফ।
দুই বছর মেয়াদে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন একই গ্রামের আব্দুল আলিম শেখের ছেলে আব্দুল্লাহ ও আব্দুস সামাদের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। মামলার অপর দুই আসামি মো, আমির হামজা শেখ ও মোছা. লিলি খাতুনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শরিফ মো. শাকিল হায়দার রফিক সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বহুলী ইউনিয়নের চাঁদপাল গ্রামের ভিকটিম মো. আশরাফ আলী একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। চাঁদপাল গ্রামে একটি রাস্তার কাজের দুই পাশ বৃদ্ধি করাকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে বিরোধ হয় তার। এ অবস্থায় ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টার দিকে লোহার রড, ছোরাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আশরাফ আলীর উপর হামলা চালায় আসামিরা। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকার একটি স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছা. সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক হোসেন ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক এ রায় দিয়েছেন।