সিরিজ জয়ের পরও যে জায়গায় অতৃপ্ত অধিনায়ক শান্ত
বাংলাদেশ টেস্ট খেলছে ২৫ বছর ধরে। আর আয়াল্যান্ড টেস্ট খেলছে মাত্র ৭ বছর ধরে। তবে এ ৭ বছরে আইরিশরা অংশ নিয়েছে মাত্র ১২টি টেস্টে। যার মধ্যে ২টিই খেললো এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেই আলোকে আয়ারল্যান্ডের তুলনায় বাংলাদেশ টেস্টে অনেক পরিণত, অভিজ্ঞ দল। তাই বাংলাদেশের সিরিজ জয় কোন বড় ঘটনা হিসেবেও চিহ্নিত হবে না। কিন্তু বাংলাদেশ কিভাবে জিতলো, জয়ের ধরন, ব্যবধান, টিম পারফরমেন্স ও ব্যক্তিগত নৈপুণ্য কেমন ছিল? সেগুলোই ছিল দেখার ও মূল্যায়ন করার। চুলচেরা বিশ্লেষণে দুটি বড় ব্যক্তিগত অর্জন অবশ্যই আছে। এক মুশফিকুর রহিমের ১০০ টেস্ট খেলা এবং শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা। অন্যটি সাকিব আল হাসানকে টপকে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সর্বাধিক উইকেট শিকারী হওয়া এবং প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্টে ২৫০ উইকেট শিকারী হওয়া। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটাররা সে অর্থে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। টেস্ট খেলতে শুরু করে বাংলাদেশ যখন আয়ারল্যান্ডের মত নতুন ও অনভিজ্ঞ দল ছিল, তখন বাংলাদেশের বিপক্ষে গন্ডায় গন্ডায় সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি আর একাধিক ট্রিপল সেঞ্চুরিও হতো। বাংলাদেশ যখন প্রথম প্রথম টেস্ট খেলতে শুরু করে, তখন বেশিরভাগ টেস্টেই র
বাংলাদেশ টেস্ট খেলছে ২৫ বছর ধরে। আর আয়াল্যান্ড টেস্ট খেলছে মাত্র ৭ বছর ধরে। তবে এ ৭ বছরে আইরিশরা অংশ নিয়েছে মাত্র ১২টি টেস্টে। যার মধ্যে ২টিই খেললো এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে।
সেই আলোকে আয়ারল্যান্ডের তুলনায় বাংলাদেশ টেস্টে অনেক পরিণত, অভিজ্ঞ দল। তাই বাংলাদেশের সিরিজ জয় কোন বড় ঘটনা হিসেবেও চিহ্নিত হবে না। কিন্তু বাংলাদেশ কিভাবে জিতলো, জয়ের ধরন, ব্যবধান, টিম পারফরমেন্স ও ব্যক্তিগত নৈপুণ্য কেমন ছিল? সেগুলোই ছিল দেখার ও মূল্যায়ন করার।
চুলচেরা বিশ্লেষণে দুটি বড় ব্যক্তিগত অর্জন অবশ্যই আছে। এক মুশফিকুর রহিমের ১০০ টেস্ট খেলা এবং শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা। অন্যটি সাকিব আল হাসানকে টপকে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সর্বাধিক উইকেট শিকারী হওয়া এবং প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্টে ২৫০ উইকেট শিকারী হওয়া।
কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটাররা সে অর্থে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। টেস্ট খেলতে শুরু করে বাংলাদেশ যখন আয়ারল্যান্ডের মত নতুন ও অনভিজ্ঞ দল ছিল, তখন বাংলাদেশের বিপক্ষে গন্ডায় গন্ডায় সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি আর একাধিক ট্রিপল সেঞ্চুরিও হতো।
বাংলাদেশ যখন প্রথম প্রথম টেস্ট খেলতে শুরু করে, তখন বেশিরভাগ টেস্টেই রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়তে হতো। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা- সব প্রতিষ্ঠিত দল বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ে বসতো।
শচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমারা সাঙ্গাকারা, গ্রায়েম স্থিথ, আজহার আলী, শিব নারায়ন চন্দরপলরা বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের নহর বইয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট হলেই ওই সব নামি ও বড় তারারা জ্বলে উঠতেন। তাদের বড় ইনিংস খেলার নেশা যেন দ্বিগুণ হতো। পরিসংখ্যান বলে- শচিন, মাহেলা, সাঙ্গাকারা, আজহার আলী ও মারলন স্যামুয়েলস- সবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি আছে। এক সাঙ্গাকারাই বাংলাদেশের বিপক্ষে ২টি ডাবল সেঞ্চুরি (২০০* ও ২২২*) ও এক ট্রিপল সেঞ্চুরি (৩১৯) হাঁকিয়েছেন।
কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটাররা সে অর্থে তুলনামূলক কম শক্তির বিপক্ষে এমন বড় বড় ইনিংস খেলতে পারেন না। পিছনে তাকানোর দরকার নেই। এই আয়ারল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষে ২ টেস্টে মুমিনুল, মুশফিক, সাদমান, লিটন, মাহমুদুল হাসান জয়রা মিলে এক ডজন হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিলেও তার মধ্যে ৪টা মাত্র সেঞ্চুরিতে রুপান্তরিত হয়েছে। বাকি ৮টি ফিফটি আর তিন অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি।
কেন বাংলাদেমের ব্যাটাররা তুলনামূলক কম শক্তির আয়ারল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষেও ঘরের মাঠে ২ টেস্টে একটি ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারলেন না। কেনই বা ব্যক্তিগত ইনিংসের একটিও বড় হলো না?
আগের দিন এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন টাইগার ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। আজ রোববার শেরে বাংলায় টেস্ট সিরিজ শেষে একই প্রশ্নর সম্মুখিন হলেন টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও।
সে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে টাইগার টেস্ট ক্যাপ্টেন স্বীকার করলেন, তারাও এ সিরিজের আগে এ বিষয়টা ভেবেছেন। তাদের আলাপ আলোচনায়ও ছিল বিগ ইনিংস খেলার তাগিদ। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর টার্গেটও ছিল। সে সব একদমই পূর্ণ হয়নি, তা নয়। তবে খানিকটা পূর্ণ হয়েছে। তবে মূল বিষয়টাই অপূর্ণ থেকে গেছে।
শান্তর কথা, ‘পজিটিভ দিক হলো এ সিরিজে চারটা ১০০ হয়েছে। নেগেটিভ দিক আমি বলবো যে, সেঞ্চুরিগুলো আরও বড় হতে পারতো। এখান থেকে যদি দুইটা ডাবল হানড্রেড হতো, তাহলে এটা আরও ভালো হতো। ৫০ গুলো যদি ১০০ হতো তাহলে আরও ভালো হতো। আমাদের সুযোগ ছিলো, আমরা করতে পারিনি। সবাই চেষ্টা করেছে। তবে সেই লক্ষ্যগুলো পূর্ণ হলে অধিনায়ক হিসেবে আরও ভালো লাগতো।’
শান্ত স্বীকার করেন যে, আয়ারল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষে বড় বড় ইনিংস খেলতে পারলে ব্যাটারদের আস্থা ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। যদি এই রানগুলো থাকে একটা ব্যাটারের পেছনে, তাহলে ভবিষ্যতে এটা আসলে ওই ব্যাটারকে আরও কনফিডেন্স দিবে। সো পজিটিভ-নেগেটিভ দুইটাই ছিলো।’
এআরবি/আইএইচএস/
What's Your Reaction?