সিরিয়ার জ্বালানি খাতকে সুযোগ হিসেবে দেখছে পশ্চিমারা

সিরিয়ার জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়তে থাকায় নতুন করে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সিরিয়ার অর্থনীতি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওসামা আল-কাদি জানান, মার্কিন কোম্পানি কনোকোফিলিপস ও শেভরন ইতোমধ্যে তেল-গ্যাস খাতে কাজ শুরু করেছে। এর প্রভাবে ব্রিটিশ এনার্জি জায়ান্ট শেল-সহ ইউরোপের আরও প্রতিষ্ঠানও মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে অংশীদার হয়ে সিরিয়ায় বিনিয়োগে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আল-কাদি বলেন, নবগঠিত ব্রিটিশ-সিরীয় বিজনেস কাউন্সিল ব্যাংক লেনদেনের সুযোগ তৈরি করেছে, যা আমদানি-রপ্তানি সহজ করবে এবং ব্যাংক খাতকে গতিশীল করবে। তিনি জানান, কনোকোফিলিপস খুব শিগগিরই কারিগরি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে, আর নতুন বছরের শুরুতেই পূর্ণ মাত্রায় কাজ শুরু হতে পারে। মার্কিন কোম্পানির এসব চুক্তি ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীদের কাছে দিচ্ছে যে ২০১৯ সালের সিজার অ্যাক্ট নিষেধাজ্ঞা শিথিল বা তুলে নেওয়ার পথ খুলতে পারে। এতে জার্মানি ও ফ্রান্সসহ ইউরোপের আরও প্রতিষ্ঠান সিরিয়ায় প্রবেশে আগ্রহী হতে পারে। উল্লেখ্য, গত মে মাসে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

সিরিয়ার জ্বালানি খাতকে সুযোগ হিসেবে দেখছে পশ্চিমারা
সিরিয়ার জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়তে থাকায় নতুন করে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সিরিয়ার অর্থনীতি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওসামা আল-কাদি জানান, মার্কিন কোম্পানি কনোকোফিলিপস ও শেভরন ইতোমধ্যে তেল-গ্যাস খাতে কাজ শুরু করেছে। এর প্রভাবে ব্রিটিশ এনার্জি জায়ান্ট শেল-সহ ইউরোপের আরও প্রতিষ্ঠানও মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে অংশীদার হয়ে সিরিয়ায় বিনিয়োগে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আল-কাদি বলেন, নবগঠিত ব্রিটিশ-সিরীয় বিজনেস কাউন্সিল ব্যাংক লেনদেনের সুযোগ তৈরি করেছে, যা আমদানি-রপ্তানি সহজ করবে এবং ব্যাংক খাতকে গতিশীল করবে। তিনি জানান, কনোকোফিলিপস খুব শিগগিরই কারিগরি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে, আর নতুন বছরের শুরুতেই পূর্ণ মাত্রায় কাজ শুরু হতে পারে। মার্কিন কোম্পানির এসব চুক্তি ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীদের কাছে দিচ্ছে যে ২০১৯ সালের সিজার অ্যাক্ট নিষেধাজ্ঞা শিথিল বা তুলে নেওয়ার পথ খুলতে পারে। এতে জার্মানি ও ফ্রান্সসহ ইউরোপের আরও প্রতিষ্ঠান সিরিয়ায় প্রবেশে আগ্রহী হতে পারে। উল্লেখ্য, গত মে মাসে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেবে। তবে সিজার অ্যাক্ট বাতিল করতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন, যা বছরের শেষ নাগাদ হতে পারে। আল-কাদি দাবি করেন, লাতাকিয়া ও তর্তুস বন্দর এখন আন্তর্জাতিক কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ড ও কিছু ফরাসি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় চলছে, যা আরব দেশগুলোর সঙ্গে বিস্তৃত সমঝোতার অংশ। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, সিরিয়ার সামনে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো, পরিবহন ও ব্যাংকিং খাত আধুনিকায়ন এবং আইনি কাঠামো সংস্কার। এসব সমস্যা সমাধানে নতুন আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। সূত্র : শাফাক নিউজ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow