সিরিয়াল ভেঙে এক্সরে না করায় মারধর, প্রতিবাদে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

সুনামগঞ্জে সিরিয়াল ভেঙে আগে এক্স-রে করতে না দেওয়ায় হাসপাতালের এক কর্মী মারধরের শিকার হয়েছেন। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের নিচতলায় এক্স-রে রুমে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওয়ার্ডবয় পিয়াল হোসেন বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন পৌরশহরের হাসননগরের বাসিন্দা আপ্তাব উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ ও শিমুল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিনের মতো দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের সিরিয়াল অনুযায়ী হাসপাতালের নিচতলায় এক্স-রে করা হচ্ছিল। হঠাৎ হাসপাতালের পাশের বাসিন্দা ফরহাদ ও শিমুল এসে তাদের রোগীকে নিয়ম ভেঙে এক্স-রে করতে বলেন। রাজি না হওয়ায় এক্স-রে রুমেই ওয়ার্ডবয়কে মারধর করা হয়। মারধরের শিকার পিয়াল হোসেন বলেন, ‌‘আজ অন্যায়ভাবে আমাকে মারধর করা হয়েছে। অথচ আমার কোনো অপরাধ ছিল না। আশা করি, পুলিশ দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।’ সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা সেবা দেওয়ার জন্য এখানে চাকরি করি; কারও মারধরের শিকার হওয়ার জন্য নয়। আজ সিরিয়াল ভেঙে এক্স-রে না করায় হাসপাতালের এক্স-রের রুমে ডুকে যেভাবে স

সিরিয়াল ভেঙে এক্সরে না করায় মারধর, প্রতিবাদে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

সুনামগঞ্জে সিরিয়াল ভেঙে আগে এক্স-রে করতে না দেওয়ায় হাসপাতালের এক কর্মী মারধরের শিকার হয়েছেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের নিচতলায় এক্স-রে রুমে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ওয়ার্ডবয় পিয়াল হোসেন বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন পৌরশহরের হাসননগরের বাসিন্দা আপ্তাব উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ ও শিমুল।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিনের মতো দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের সিরিয়াল অনুযায়ী হাসপাতালের নিচতলায় এক্স-রে করা হচ্ছিল। হঠাৎ হাসপাতালের পাশের বাসিন্দা ফরহাদ ও শিমুল এসে তাদের রোগীকে নিয়ম ভেঙে এক্স-রে করতে বলেন। রাজি না হওয়ায় এক্স-রে রুমেই ওয়ার্ডবয়কে মারধর করা হয়।

মারধরের শিকার পিয়াল হোসেন বলেন, ‌‘আজ অন্যায়ভাবে আমাকে মারধর করা হয়েছে। অথচ আমার কোনো অপরাধ ছিল না। আশা করি, পুলিশ দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।’

সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা সেবা দেওয়ার জন্য এখানে চাকরি করি; কারও মারধরের শিকার হওয়ার জন্য নয়। আজ সিরিয়াল ভেঙে এক্স-রে না করায় হাসপাতালের এক্স-রের রুমে ডুকে যেভাবে স্টাফকে মারধর করা হয়েছে তা সত্যিই দুঃখজনক।’

এদিকে আসামিদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অন্যথায় কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে যারা এ হামলা চালিয়েছেন, তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

লিপসন আহমেদ/এসআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow