সিলেট-৬ আসনের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সিলেটে-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে উপজেলার সিনিয়র নেতারা। গত ২৩ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদনে প্রার্থী তালিকা পুনর্বিবেচনা করে ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। লিখিত আবেদনে বলা হয়, ফয়সল আহমদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিএনপির আদর্শ, সংগঠনের নির্দেশনা এবং নেতাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। রাজনৈতিক প্রতিকূল সময়ে তিনি জনগণের পাশে থেকেছেন। তিনি ২০০৭ সাল থেকে প্রায় ১৮ বছর ধরে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি এলাকা সিলেট-৬ আসনে মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বন্যা, করোনাকালীন দুঃসময়ে মানুষের পুনর্বাসন, জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দান-অনুদান, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, শিশুদের জন্য টিফিনের খাবার বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ও উন্নয়নধর্মী কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ ম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সিলেটে-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে উপজেলার সিনিয়র নেতারা।
গত ২৩ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদনে প্রার্থী তালিকা পুনর্বিবেচনা করে ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
লিখিত আবেদনে বলা হয়, ফয়সল আহমদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিএনপির আদর্শ, সংগঠনের নির্দেশনা এবং নেতাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। রাজনৈতিক প্রতিকূল সময়ে তিনি জনগণের পাশে থেকেছেন।
তিনি ২০০৭ সাল থেকে প্রায় ১৮ বছর ধরে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি এলাকা সিলেট-৬ আসনে মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বন্যা, করোনাকালীন দুঃসময়ে মানুষের পুনর্বাসন, জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দান-অনুদান, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, শিশুদের জন্য টিফিনের খাবার বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ও উন্নয়নধর্মী কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ, দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সংগঠিত রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
আরও বলা হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে বিএনপির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। ওই নির্বাচনে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের জনসাধারণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে মাত্র ২ ঘণ্টায় ১,০৮,০৮৯ (এক লাখ আট হাজার উননব্বই) ভোট পান তিনি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করেন- ফয়সল আহমদ চৌধুরীর জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও সুসমন্বিত নেতৃত্বের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য। দলের কর্মী-সমর্থকরা তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
তিনি নির্বাচনি মাঠে শক্ত অবস্থান, সক্রিয় যোগাযোগ এবং জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম। বিগত সময়ে দলের দুঃসময়ে তার উপস্থিতি ও ত্যাগ সাধারণ মানুষের নজর কাড়া বাস্তবতা। এই সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে আগামী সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে পুনরায় মূল্যায়ন করলে দলের জন্য এটি সুফল বয়ে আনবে এবং নির্বাচনি প্রতিযোগিতায় দল আরও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারবে।
আবেদনপত্রে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নোমান উদ্দিন মুরাদ, প্রথম সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ চৌধুরী, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ছরওয়ার হোসেন, বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান রুমেল, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মোল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান, বিয়ানীবাজার উপজেলার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নিয়াজউদ্দিন ও বিয়ানীবাজার পৌর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. কবির আহমদ।
কেএইচ/এমআরএম/জেআইএম
What's Your Reaction?