সিলেটে পাথর লুটে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রিট

1 month ago 17

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রে সাদাপাথর লুটের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।

রিট আবেদনে সাদাপাথর লুট বন্ধে দায়িত্বরত কোনো কর্তৃপক্ষের (স্থানীয় নাকি কেন্দ্রীয়) অবহেলা ছিল কি না, খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় আর্থিক ও পরিবেশগত কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।

রিটে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পৃথক তিনটি মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), জেলা প্রশাসক (ডিসি) সিলেট, ইউএনও কোম্পানিগঞ্জসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মীর কে এম নুরুন্নবী এই রিটটি দায়ের করেন। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে আগামী রোববার (১৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

রিটের বিষয়টি আইনজীবী নিজে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, আজ ম্যানশন করেছিলাম কোর্ট ম্যানশন অ্যালাও করেছেন। রোববারে শুনানির জন্য রেখেছেন।

এর আগে নজিরবিহীন লুটপাটের পর সিলেটে পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথর রক্ষায় নড়ে ওঠে প্রশাসন। বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউজে জরুরি সমন্বয় সভা আহ্বান করা হয়। সভায় লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ২৪ ঘণ্টা সাদা পাথর এলাকায় যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই সাদা পাথর ভোলাগঞ্জ রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকায় শুরু হয় লুটপাট। প্রকাশ্যে প্রশাসনের সামনেই লুটে নেওয়া হয় পাথর। এরপর প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় কিছুদিন বন্ধ ছিল লুটপাট। তবে গত মাসের শেষ দিকে লুটপাটও আরও বেড়ে যায়। মাত্র কয়েকদিনেই লুটপাট করে লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয় সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র।

এদিকে সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সব দলীয় পদ স্থগিত করা হয়। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপি ও যুবদলের আরও কয়েকজন নেতা লুটপাটে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর বাইরে জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক নেতার বিষয়েও গুঞ্জন রয়েছে।

এফএইচ/বিএ/জিকেএস

Read Entire Article