সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখন পানির জন্য হাহাকার। গত এক সপ্তাহ ধরে দাবদাহ থাকায় পানির চাহিদা বাড়ছেই। এ নিয়ে ফুঁসছে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
নগরের বারুতখানা এলাকায় এক মাসের বেশি সময় ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। এ অবস্থায় পানি সরবরাহের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বারুতখানা-বন্দরবাজার সড়কে এ অবরোধ করা হয়। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
স্থানীয়রা জানান, সিটি করপোরেশনের পানির সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাসিন্দারা নিত্যদিনের কাজে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন। খাবার পানি থেকে শুরু করে রান্না ও দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্যও তাদের বাইরে থেকে পানি কিনতে হচ্ছে।
বারুতখানা এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম জানান, এক মাস ধরে সিটি করপোরেশন পানি দিচ্ছে না। এতে এলাকার বাসিন্দারা কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। একাধিকবার সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় আমরা সড়ক অবরোধ করেছি। দেখা যাক সমস্যার সমাধান হয় কিনা।
একই এলাকার বাসিন্দা শামসুন্নাহার কালবেলাকে বলেন, পানির জন্য আমরা বড় সমস্যায় আছি। খাবার পানি থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ব্যবহারের পানি প্রায় এক মাস ধরে কিনে ব্যবহার করছি। এতে একেকটি পরিবারের নিয়মিত প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ সিটি করপোরেশন কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। বাধ্য হয়েই আমরা সড়কে নেমেছি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকবর কালবেলাকে বলেন, বারুতখানা এলাকার অধিকাংশ বাড়ির পানির পাইপ পুরোনো ও লোহার হওয়ায় জং ধরে সমস্যা হয়েছে। আবার বিদ্যুতের লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে পানি ঠিকমতো সরবরাহ করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে আলাদা রিজার্ভার নেই। সরাসরি পাম্প দিয়ে ট্যাংকে পানি তোলা হয়, যা আইনসম্মত নয়। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের চারটি ট্যাংকের মধ্যে একটি বিকল হয়ে আছে। তিনটি দিয়ে পানি সরবরাহ করা হলেও সমস্যা রয়ে গেছে। এরপরও সমস্যাগ্রস্ত এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সময় পানি সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার কালবেলাকে বলেন, পানির সংকট আছে এটা সত্য। অনেক এলাকায় দীর্ঘ সময় লোডশেডিং হয়, রিজার্ভ ট্যাংক নেই। এ সংকট দূর করতে কাজ হচ্ছে। আমরা আরও পাম্পের ব্যবস্থা করছি।