জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ১২ বলে ৯ রান, হাতে তখনো ৬ উইকেট। এই ম্যাচ হেসেখেলেই জিতবে লঙ্কানরা, রিংকু সিং বল হাতে নেওয়ার পর সবাই এমনটিই মনে করেছিলেন। কারণ রিংকু যে আগে কখনো বল হাতে নেননি। কিন্তু সূর্যকুমার যাদব হয়তো জানতেন, ‘সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন’ দেওয়া ছাড়া এখন আর উপায় নেই!
ধূর্ত সূর্যের এই কৌশল দারুণ কাজে দিলো। চমক দেখালেন রিংকু। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে তুলে নিলেন ২ উইকেট। এর মধ্যে প্রথমে ফেরালেন সেট ব্যাটার কুশল পেরারাকে (৩৪ বলে ৪৬)।
শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ালো ৬ বলে ৬ রান। এবার সূর্য নিজেই বল হাতে নিলেন। যা ক্রিকেটের ইতিহাসে তার প্রথম বল হাতে নেওয়া। তিনিও চোখ কপালে তুললেন দর্শকদের। মাত্র ৫ রান দিয়ে তুলে নিলেন ২ উইকেট। এতে টাই হয়ে গেলো ম্যাচ। খেলা গড়ালো সুপার ওভারে।
বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচের সুপার ওভার হলো ৪ বলের। এতে আগে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ২ দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাকিয়ে ভারতকে জয় এনে দেন সূর্য। এতে তিন ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করলো ভারতীয়রা।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে শেষ দিকে নাটকীয় ধস হয়েছিল শ্রীলঙ্কার। পাল্লেকেলেতে গতকালও সেটিই হলো। টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ৯ উইকেট তুলে ১৩৭ রানেই আটকে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচও শেষ পর্যন্ত হারতে হলো স্বাগতিকদের।
এই ম্যাচে কোনো ভারতীয় ব্যাটারকে বিধ্বংসী হতে দেনটি শ্রীলঙ্কার বোলাররা। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন শুবমান গিল। তবে বল খেলে ফেলেন ৩৭টি। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রায়ান পরাগ করেন ১৮ বলে ২৬ রান। ওয়াশিংটন সুন্দরের ছিল ২৫ রানের একটি প্রয়োজনীয় ইনিংস।
জবাবে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৮ রান, দ্বিতীয় উইকেটে আরও একটি অর্ধশত রানের জুটি। এতে ২ উইকেটেই ১১০ রান করে ফেলে শ্রীলঙ্কা। শেষদিকে নাটকীয় ধসে শেষ পর্যন্ত হার হজম লঙ্কানদের।
পাথুম নিশাঙ্কা ২৭ বলে ২৬, কুশল মেন্ডিস ৪১ বলে ৪৩ ও কুশল পেরারা ৩৪ বলে ৪৬ রান করেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন মাহিশ থিকশানা আর ২টি উইকেট পান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ভারতের রিংকু সিং, রবি বিষ্ণোই, ওয়াশিংটন সুন্দর ও সূর্যকুমার যাদব ২টি করে উইকেট নেন।
এমএইচ/জেআইএম